এখন মানুষের জীবনের একটি গরুত্বপূর্ণ অংশ হল স্মার্টফোন। একসময় যে ডিভাইস শুধুমাত্র কথা বলার জন্য ব্যবহার হত, এখন তা দিয়ে বহু কাজ সেরে ফেলেন মানুষ। এককথায় বলতে গেলে স্মার্টফোন এখন মানুষের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তবে এই স্মার্টফোনে বিস্ফোরণ বা আগুন ধরে যাওয়ার মতো বিভিন্ন ঘটনায় অনেক সময় সামনে এসেছে। কোনও কোনও সময় এই ধরনের ঘটনায় মৃত্যু পর্যন্ত ঘটেছে। এর নেপথ্যে থাকতে পারে বেশকিছু কারণ। কিছু খারাপ অভ্যাসের জেরেও এমনটা ঘটতে পারে। যেমন ফোন চার্জে দিয়ে ব্যবহার করা, বা সারারাত ফোনে চার্জ দেওয়া। চলুন এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ফোন চার্জে দিয়ে কথা বলা
স্মার্টফোন চার্জে দিয়ে কখনওই কথা বলা উচিত নয়। তবে অনেকেই এই নিয়ম মানেন না। তাঁরা অনেক সময়ই ফোন চার্জে দিয়ে গেম খেলেন বা কথা বলেন। যেহেতু চার্জ দেওয়ার সময় ফোন গরম হয়ে যায়, তাই তখন তাতে কথা বললে সেটি আরও গরম হয়ে যেতে পারে। এতে ফোনটি খারাপ হয়ে যেতে পারে, বা বিস্ফোরণও (Smartphone Blast) ঘটতে পারে।
সারারাত চার্জ দেওয়া
অনেকেই ফোনে সারা রাত চার্জ দেন। তবে এমনটা করা বিপজ্জনক। এর ফলে শুধু ফোন খারাপ হয়ে যাওয়া নয়, তাতে আগুনও ধরে যেতে পারে। যদিও আধুনিক স্মার্টফোনগুলিতে এমন কিছু ফিচার দেওয়া হয়েছে যার ফলে সম্পূর্ণ চার্জ হয়ে যাওয়ার পর তা নিজে থেকেই ডিসকানেক্ট হয়ে যায়।
চার্জিংয়ের সময় ফোন বালিশের নিচে রাখা
অনেকে চার্জে দিয়ে ফোনটিকে বালিশের নিচে রেখে দেন। তাতে ওভার হিটের কারণে ফোনে ব্লাস্ট বা আগুন ধরে যেতে পারে। এমনকি চার্জে দেওয়া অবস্থায় ফোন বিছানার কাছে রাখাও ঠিক নয়।
হেভি চার্জার বা লোকাল পাওয়ার অ্যাডপ্টার
যদি কেউ ফোন তাড়াতাড়ি চার্জ করার জন্য হেভি চার্জার ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে তিনি নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনছেন। কারণ প্রতিটি ফোনকেই একটি নির্দিষ্ট পাওয়ার ক্যাপাসিটিতে তৈরি করা হয়। যদি হ্যান্ডসেটটি ফাস্ট চার্জার সাপোর্ট না করে, তাহলে ইউজারদের সেটি ব্যবহার করা ঠিক নয়। এতে একদিকে যেমন ব্যাটারিটি খারাপ হয়ে যেতে পারে, অন্যদিকে ফোনে ব্লাস্ট বা আগনুও ধরে যেতে পারে। আবার লোকাল চার্জার ব্যবহার করলেও ঘটতে পারে এমনটাই।
আরও পড়ুন - সোনা-হিরে নয়! Youtube স্টারের গলায় যেটা ঝুলছে, দাম ৪৫ কোটি টাকা