Egg Price Drop: টানা ১৭ দিন ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর অবশেষে রাজ্যজুড়ে বেশ কিছুটা কমেছে পোল্ট্রির মুরগির ডিমের দাম। নভেম্বরের শেষে যা দাম ছিল, এক মাস পর সেই স্তরেই নামল ডিমের দর।
প্রতি বছরই শীতের সময়টায় তাপমাত্রার পারদ নামার সঙ্গে সঙ্গে দেশের প্রায় সর্বত্র ডিমের চাহিদা আর দাম কিছুটা বাড়ে। তবে এ বছর পুজোর আগে থেকেই ডিমের ডাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় ডিসেম্বরে তা রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছায়।
এর আগে ডিমের সর্বশেষ দামের পরিবর্তন হয়েছিল ৯ ডিসেম্বরে। ওই দিন পাইকারি বাজারে প্রতি পিস ডিমের দাম ১০ পয়সা করে কমেছিল। এর পর থেকে ফের বাড়তে থাকে পোল্ট্রির মুরগির ডিমের দাম।
এই নিয়ে ডিসেম্বরে দ্বিতীয় দিন কমলো মুরগির ডিমের দাম। এই দু’বারে প্রতি পিস ডিমের দাম মোট ৩৭ পয়সা কমেছে। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে ডিসেম্বরে পাইকারি বাজারে জোড়ায় ৭৪ পয়সা সস্তা হয়েছে ডিম।
পাইকারি বাজারে ডিমের দাম কমলেও খুচরো বাজারে এখনও সে ভাবে দাম কমেনি ডিমের। খুচরো বাজারে এক পিস ডিমের দাম এখনও ৭ টাকা। পোল্ট্রির মুরগির ডিম এখনও জোড়া ১৪ টাকায় বিকোচ্ছে। সুপার মার্কেটে ডিম বিক্রি হচ্ছে ৭ টাকা ২৬ পয়সায়।
ন্যাশনাল এগ কোঅর্ডিনেশন কমিটির (NECC) প্রস্তাবিত হার অনুযায়ী, বাংলায় এখন ১০০টা ডিমের পাইকারি দাম ৫৮৫ টাকা। অর্থাৎ, এখন একেকটা ডিমের পাইকারি দর ৫ টাকা ৮৫ পয়সা।
১২ ডিসেম্বর এ রাজ্যে এক ডজন ডিমের দাম ছিল ৭১ টাকা ৪০ পয়সা। বর্তমানে দাম কমার পর ডিমের পাইকারি দর ডজনে (১২ পিস) ৭০ টাকা ২০ পয়সা। অর্থাৎ, চলতি মাসে এক ডজন ডিমের দাম সাকুল্যে ১ টাকা ২০ পয়সা কমেছে।
এক ট্রে মুরগির ডিমেরও (৩০টা ডিম) দাম কমেছে। পাইকারি বাজারে দুদিন আগে পর্যন্ত ১৮৫-১৯০ টাকায় বিক্রি হওয়া এক ট্রে পোল্ট্রির মুরগির ডিমের দাম এখন কমে ১৭৫-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরো বাজারে এই দাম আরও কিছুটা বেশি।
ন্যাশনাল এগ কোঅর্ডিনেশন কমিটির (NECC) ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুসারে, মুম্বাইতে আজ প্রতি ১০০ ডিমে ৫৯০ টাকায় ডিম বিক্রি হচ্ছে। চেন্নাইতে ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৭৫ টাকায়। উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউতে ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৯৩ টাকা, কানপুরে ৫৬২ টাকা, রাঁচিতে ৫৯৫ টাকা, পটনায় ৫৯৮ টাকা প্রতি ১০০ ডিম।