২০২১-’২২ অর্থবর্ষে সরকার বিলগ্নিকরণের মাধ্যমে ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা জোগাড় করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। বাজেটে এ কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে, আইডিবিআই ব্যাঙ্ক ছাড়াও আগামী অর্থবর্ষে আরও সরকারি প্রতিষ্ঠানের বেসরকারীকরণ করা হবে। যদিও ওই সরকারি ব্যঙ্কগুলির নাম বলেননি তিনি।
কোন দুটি ব্যাঙ্ক বেসরকারী করা হবে তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে সরকার আগামী অর্থবর্ষে তার বিলগ্নিকরণের লক্ষ্য অর্জন করতে চাইবে। ইতোমধ্যে সরকারের পুনর্বিন্যাসের তালিকায় আইডিবিআই ব্যাঙ্কের নাম রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের মনেও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, কোন দু’টি সরকারি ব্যাঙ্ককে এ বার বেসরকারিকরণ করা হতে পারে!
এই জল্পনার মাঝেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেসরকারিকরণের কী প্রভাব পড়তে চলেছে, তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে গ্রাহকদের মনে। তবে বাজেটে কেন্দ্রের এই ঘোষণার পরই ব্যাঙ্কের শেয়ার দর বাড়তে শুরু করেছে বাজারে।
আসলে, কেন্দ্রীয় সরকার অনেক আগেই পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিল যে সরকারী ব্যাঙ্কের সংখ্যা হ্রাস পাবে। এই পর্বে, গত বছর, ১০টি সরকারি ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণের মাধ্যমে ৪টি ব্যাঙ্ক গঠন করা হয়েছে।
এখন সরকার আরও কিছু সরকারী ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ করতে চায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকার যে সব ব্যাঙ্ক ধারাবাহিক ভাবে ঘাটতিতে চলছে, সেগুলিকেই বেসরকারিকরণ করতে চায়।
২০২০ সালে নীতি আয়োগ কেন্দ্রকে তিনটি সরকারি ব্যাঙ্ককে বেসরকারিকরণের প্রস্তাব দেয়। এই তালিকায় ছিল ইউকো ব্যাঙ্ক, পঞ্জাব অ্যান্ড সিন্ধ ব্যাঙ্ক আর ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্রের নাম। গত বছর রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনেও এই তিনটি ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণের সরকারি সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশিত হয়।
একাধিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ইউকো ব্যাঙ্ক, পঞ্জাব অ্যান্ড সিন্ধ ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্র, ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিয়ান ওভারসিস ব্যাঙ্কের মধ্যে যে কোনও দুটি ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ হতে পারে। তবে সবটাই এখনও অনুমানের পর্যায়েই রয়েছে।