কোভিডের কারণে এখন সমস্ত সংস্থার কর্মীদের জন্য প্রাপ্ত Group Health Insurance-এর ব্যয় ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিমা সংস্থাগুলি জানিয়েছে যে, করোনা অরিমারীর কারণে বিমার ক্লেম উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিমা সংস্থাগুলির আয় অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাই বিমা সংস্থাগুলি প্রিমিয়াম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে।
বিমা সংস্থাগুলি জানিয়েছে, যে সকল সংস্থা তার কর্মীদের পুরোপুরি ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ মডেলে কাজ করাচ্ছে, তাদের জন্য বিমার প্রিমিয়াম বা খরচ কম হবে। কারণ, ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এ কর্মীদের ভাইরাসের সংস্পর্শের এসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তুলনামূলক ভাবে কম রয়েছে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে ফিউচার জেনারেল ইন্ডিয়া ইন্স্যুরেন্সের চিফ অপারেটিং অফিসার শ্রীরাজ দেশপাণ্ডে বলেছেন, "আমরা বিগত এক বছরে গ্রুপ স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়াম গড়ে ৩০ শতাংশ বাড়িয়েছি।"
ইনসিওরটেক সংস্থা ভিটালের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জয়ন ম্যাথিউস বলেছিলেন, “মহামারীটি আঘাত হানার পরে কর্মীরা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সাশ্রয়ী মূল্যের গ্রুপ স্বাস্থ্য নীতি পাবে বলে আশা করেছিল যা কোভিডের প্রভাবগুলিও কভার করবে। যেমন-মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার জন্য কাউন্সেলিং।
বিমা সংস্থাগুলি জানিয়েছে যে, প্রিমিয়াম বাড়ানোর কারণ আসলে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের পরে, স্বাস্থ্য বিমা ব্যবসায় লাভের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পেয়েছে।
করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে প্রায় সমস্ত সংস্থার কর্মীদের জন্য গ্রুপ বিমার চাহিদা বহুগুণ বেড়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ থেকে শুরু করে এমএনসি পর্যন্ত প্রত্যেকেই Group Health Insurance-এর উপর জোর দিচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত, এই ধরনের ছোট ব্যবসায়ের কর্মীদের কর্মচারীদের রাজ্য বিমা কর্পোরেশন (ESIC) এর অধীনে বিমা কভার দেওয়া হত। তবে তাদের মালিকরা এখন অনুভব করছেন যে ESIC এর বিমা যথেষ্ট নয়, তাই তারা বেসরকারী সংস্থাগুলির বাণিজ্যিক বিমা কভার বেছে নিচ্ছেন।