দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে করোনার দু’টি প্রতিষেধক— অক্সফোর্ড-AstraZeneca-র তৈরি Covishield এবং ভারত বায়োটক (Bharat Biotech) ও ICMR-এর যৌথ উদ্যোগে তৈরি Covaxin-কে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র।
জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে দফায় দফায় গণ টিকাকরণ চলছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও করোনা সংক্রমণে নিয়ন্ত্রণ আনা যাচ্ছে না। টিকা যাঁরা নিচ্ছেন তাঁরাও নানা সমস্যা অনুভব করছেন।
এর মধ্যে টিকা নেওয়ার পর ব্যথা, বেদনা, জ্বরের মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তো রয়েছেই! অনেকেই আবার ইনজেকশন নিতে ভয় পান। ফলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার অজুহাতে তাঁরাও করোনার টিকা নিচ্ছেন না।
ছোট থেকে বড়, ইনজেকশন নিতে ভয় পাওয়াটা করোনার টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে একটা বড় অংশের মধ্যে সমস্যা তৈরি করছে। এ বার করোনার টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে এই ইনজেকশনের ভয় বা বাধা দূর হতে চলেছে।
এবার ক্যাপসুলের আকারে করোনার টিকা তৈরি করে ফেলেছেন বিজ্ঞানীরা! অন্যান্য ওষুধের মতো এই ক্যাপসুল বা ওরাল ভ্যাকসিন খেলেও সুরক্ষা মিলবে করোনা ভাইরাসের থেকে।
কিন্তু করোনার থেকে কতটা সুরক্ষা দিতে পারবে এই ক্যাপসুল বা ওরাল ভ্যাকসিন? এই উত্তর পাওয়ার জন্যই চলছে ক্লিনিকাল ট্রায়াল।
ভারতীয় ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা প্রেমাস বায়োটেক (Premas Biotech) করোনার এই ওরাল ভ্যাকসিন তৈরির জন্য হাত মিলিয়েছে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা Oramed Pharmaceuticals Inc-এর সঙ্গে।
ওরাল ভ্যাকসিন সফল ভাবে বাজারে ছাড়া সম্ভব হলে যা যন্ত্রণাদায়ক টিকা নেওয়ার অভিজ্ঞতা থেকে মুক্তি মিলবে, যা চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী আবিষ্কার! এই কৃতিত্বের অংশিদার হবেন অবশ্যই দুই বাঙালি। প্রেমাস বায়োটেক (Premas Biotech)-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অভিজিৎ দাস এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডাঃ প্রবুদ্ধ কুন্ডু।
ইতিমধ্যেই বিজ্ঞানীরা পরীক্ষাগারে প্রাণীদের উপর এই ওরাল ভ্যাকসিন (Oravax) প্রয়োগ করে দেখেছেন। বিজ্ঞানীদের দাবি, প্রাথমিক পর্যায়ের পরীক্ষায় প্রথম ডোজেই প্রাণীদের শরীরের অনাক্রম্যতা (Immunity) বৃদ্ধিতে এবং পাশাপাশি ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে যথেষ্ট কার্যকর প্রমানিত হয়েছে। ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এই ওরাল ভ্যাকসিনের (Oravax) কার্যকারিতা যাচাই করতে আরও বেশ কয়েক ধাপ ট্রায়াল পার করতে হবে। অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুটা সময়।