Bamboo Farming: ভারতের জনসংখ্যার এক বড়সড় অংশের ভরসা চাষবাস। কোটি কোটি মানুষের পেট চলে চাষ করে। তবে সেই পেশা মোটেই লাভজনক নয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতি হয় ফসলের। আবার সব সময় যে ফসলের ঠিকঠাক দাম পাওয়া যায়, তা-ও না।
অনেক সময় টাকার অভাবে কম দামে ফসল বিক্রি করে দিতে হয়। আর্থিক সমস্যা মেটে না। তবে এরই মাঝে বিকল্প কিছু চাষ করে ঘরে বাড়তি টাকা আসতে পারে। তার মধ্যে একটি হল বাঁশ (Bamboo)।
কেন্দ্র সরকার জাতীয় বাঁশ মিশন বা ন্যাশনাল বাম্বু মিশন (National Bamboo Mission) চালু করেছে। এই প্রকল্পে কৃষকরা ভর্তুকি পেতে পারেন। যার ফলে তাঁরা আরও বেশি লাভ করতে পারেন। এ ব্য়াপারে সরকারি ওয়েবসাইট https://nbm.nic.in থেকে সব তথ্য় পাওয়া যাবে।
বাঁশের ব্যবহার কোথায় কোথায় হয়?
বিভিন্ন জায়গায় বাঁশের ব্যবহার করা হয়। তবে বলা যেতে পারে, এটির মুল কাজ বিভিন্ন জিনিস তৈরি করতে। যেমন মেঝে, ছাদ, মাচান। এর পাশাপাশি আসবাবপত্র বা ফার্নিচারও তৈরি করা হয়। এর আরও অনেক ব্যবহার রয়েছে। যেমন কাপদ, কাগজ তৈরি হয় বাঁশ দিয়ে।
বাঁশ (Bamboo) নিয়ে কেন্দ্র সরকার নিজের আইন বদলেছে। আর তরাপর দেখা গিয়েছে এর চাষ বা এ নিয়ে ব্যবসা আরও বেড়ে গিয়েছে। বাঁশ দিয়ে টুকরি, ডান্ডাও বানানো হয়। এখন তৈরি হচ্ছে বাঁশ (Bamboo)-এর বোতল। সেই বোতল খুব জনপ্রিয় হয়েছে। এখন আমাদের দেশে ১৩৬ প্রজাতির বাঁশ রয়েছে। বছরে ১৩ মিলিয়ন টনের বেশি বাঁশ (Bamboo) উৎপাদন করা হয়।
সরকার থেকে পাওয়া যাবে আর্থিক সাহায্য
মোদী সরকার জাতীয় বাঁশ মিশন বা ন্যাশনাল বাম্বু মিশন (National Bamboo Mission) চালু করেছে। এতে বাঁশ (Bamboo) চাষে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি গাছের জন্য আর্থিক সাহায্য করা হয়। সরকার ঠিক করেছে, প্রতি গাছের জন্য ১২০ টাকা করে সাহায্য করা হবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এক হেক্টর জমিতে ২ হাজার গাছ লাগানো যেতে পারে।
তবে এ কথা খেয়াল রাখতে হবে যে আপনি বাঁশগাছ লাগালে একটা গাছের থেকে অন্য গাছের দূরত্ব কম করে হলেও দেড় মিটার হওয়ার দরকার। শুঝু তাই নয়, আপনি মাঝে এমন কোনও ফসল লাগাতে পারবেন না যার কম রোদ প্রয়োজন হয়।
একবার বাঁশ (Bamboo) লাগানোর পর ৩০ বছরের মধ্যে আপনাকে আর তা চাষের জন্য ভাবতে হবে না। এর মাঝে ঠিকঠাক চললে কৃষকেরা প্রচুর টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
বাঁশ চাষে উৎসাহ দিচ্ছে মোদী সরকার
আরও বেশি মানুষ যাতে বাঁশ চাষ করেন, সে ব্য়াপারে উৎসাহ দিচ্ছে মোদী সরকার। ২০১৮ সালে এ ব্য়াপারে নিয়মে বদল আনা হয়। কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছিলেন, করোনা সঙ্কট পেরিয়ে বাঁশ (Bamboo)-এর উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, ফার্নিচার, হস্তশিল্প এবং ধূপকাঠি বানাতে বড়সড় সাহায্য পাওয়া যাবে। এবং নির্মাণ সামগ্রী হিসেবে বাঁশের ব্যবহার বাড়বে।