এক অভিনব ঘটনার সাক্ষী থাকল বনগাঁ আদালতে। শুক্রবার সেখানে বিয়ে হল অভিযুক্ত ও অভিযোগকারিণীর। খুশি মনে বাড়ি গেল সবাই। কেটে গেল মনখারাপের মেঘ।
উত্তর ২৪ পরগনা বনগাঁর বাবুপাড়ার ২৭ বছরের যুবক কৃষ্ণেন্দু সাহা। বনগাঁরই কুড়ির মাঠ এলাকার এক যুবতীর সঙ্গে ১০ বছর আগে থেকে প্রেম-প্রণয় শুরু করেন কৃষ্ণেন্দু।
শুক্রবার বিচারক যুবকের বিবাহ করতে শর্তে জামিন মঞ্জুর করতেই, আদালতের বারান্দায় বিয়ে করল যুবক-যুবতী।
৬ মাস আগে প্রেমিকা বিয়ের প্রস্তাব দিতে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে ওই যুবক।
প্রেমিকার বাড়ি থেকে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাওয়া হয় ওই যুবকের বাড়িতে। শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বনগাঁ থানার পুলিশ।
এদিকে প্রেমিকের বিরুদ্ধে বিবাহের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস ও প্রতারণার অভিযোগ এনে দুই সপ্তাহ আগে বনগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে প্রেমিকা।
অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতার করে অভিযুক্ত যুবক কৃষ্ণেন্দু সাহাকে। শুক্রবার বনগাঁ এডিজে কোর্টের বিচারক শান্তনু মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে ওই মামলার বিচার শুরু হয়। বিচারকের কাছে মেয়েকে বিয়ে করবেন বলে আবেদন জমা দেয় অভিযুক্ত যুবক ও অভিযোগকারিণী।
একমাত্র বিয়ে করলেই মিলবে জামিন, আর সেই কারণে বনগাঁ মহকুমা আদালতে মধ্যে বিবাহ সম্পন্ন হয় প্রেমিক ও প্রেমিকার।
আদালত চত্বরে বিয়ে হবার পরে ওই যুবতী জানান, অনেক দিনের সম্পর্ক থাকার পরে বিয়ে করতে অস্বীকার করায় আমি ছেলেটির অভিযোগ করেছিলাম।
আদালতের নির্দেশে এই বিয়ে হওয়ায় আমি খুব খুশি।
যুবকের পরিবারের দাবি, ছেলে বিয়ে করতে রাজী হয়েছে। সেখানে আমাদের কোনও অপত্তি নেই। আমাদের বাড়িতে আর বউয়ের মতো থাকবে ও।
বনগাঁ আদালতের সরকারি আইনজীবী সমীর দাস বলেন, যুবক-যুবতী দুজনেই বিয়ে করার কথা জানিয়ে আদালতে হলফনামা দিয়েছে। সেই মতো বিয়ে হল আদালত চত্বরে।