Gandhi Jayanti: নওদা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে শনিবার সাড়ম্বরে পালিত হল ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রাণপুরুষ তথা জাতির জীবন জনক মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিবস। কাটা হল ২০ কেজি ওজনের কেক।
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে করমচাঁদ মোহনদাস গান্ধী তথা মহাত্মা গান্ধীর নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখিত রয়েছে। ২ অক্টোবর গান্ধীজির জন্মদিন সারা দেশে গান্ধী জয়ন্তী হিসেবে পালিত হয়ে থাকে।
শনিবার, ২ অক্টোবর সারা দেশের সঙ্গে মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে গান্ধী জয়ন্তী বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও কর্মসূচির মাধ্যমে পালিত হয়।
জেলার প্রতিটি ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব গান্ধী জয়ন্তী পালন করে। তবে নওদা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিনব উপায়ে নওদা থানার আমতলা বয়েজ ক্লাবের প্রাঙ্গণে গান্ধীজির জন্মদিন পালন করা হয়।
গান্ধীজির অহিংস নীতিকে তুলে ধরে স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী, পথচারীদের মধ্যে কেক, গোলাপফুল, মাস্ক, স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়।
নওদা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সফিউজ্জামান শেখের নেতৃত্বে সমস্ত কর্মসূচি পালিত হয়।
সফিউজ্জামান বলেন, গান্ধীজি ছিলেন অহিংস নীতিতে বিশ্বাসী। অহিংস নীতিকে সামনে রেখে তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন।
তিনি বলেন, গান্ধীজির অহিংস আন্দোলনের ফলেই সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ইংরেজরা আমাদের দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পৃথিবী জুড়ে এই অশান্তির পরিমণ্ডলে গান্ধীজির অহিংস নীতি শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারে। আমাদের সর্বময় নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অহিংস নীতিতে বিশ্বাস করেন।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কেক কেটে গান্ধী জয়ন্তী পালন করেছি।
এলাকার এক কিশোরকে গান্ধীজি সাজিয়ে সামনে রেখে শোভাযাত্রা বের করা হয়।
বয়েজ ক্লাব থেকে শোভাযাত্রা বেরিয়ে বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করে।
২০ কেজি ওজনের কেক কেটে গান্ধীজির জন্মদিবস পালন করেন। পরে ওই কেক সকলের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
অহিংসা ও ভ্রাতৃত্বের প্রতীক হিসেবে স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী, পথচারীদের মধ্যে গোলাপ বিতরণ করা হয়।
তৃণমূল কথা কংগ্রেসের এই অভিনব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী থেকে আমজনতা।
এলাকার এক ব্যবসায়ী বলেন, বর্তমানে সর্বত্র হিংসার পরিবেশ।
তিনি আরও বলেন, তবে শুধু জন্মদিন পালন করলেই হবে না। মহাত্মা গান্ধীর আর্দশ ও কর্মপন্থাকেও অবলম্বন করতে হবে।