প্রেম থেকে পরিণয়। তা থেকে বিয়ের মন্ডপে যুবক-যুবতী। তবে ১০ মাস পরেই স্ত্রীর বিয়ের ভিডিও দেখে আক্কেলগুরুম স্বামীর। কারণ এই ভিডিও তার সঙ্গে নয়, দেখেন অন্য কোনও ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে করছেন স্ত্রী। উত্তরপ্রদেশের কানপুরের এই ঘটনায় পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন যুবক।
পুলিশকে ওই যুবক জানিয়েছে, তারা প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন দশ মাস আগে. দশ মাস পর স্ত্রীর কি সমস্যা হল তা তিনি বুঝতে পারেননি। স্ত্রী তাঁকে জানান, তিনি তার সঙ্গে থাকতে রাজি নন। বাপের বাড়ি চলে যান স্ত্রী। সঙ্গে নিয়ে যান সমস্ত গয়না এবং নগদ টাকা। এরপরই তিনি খবর পান স্ত্রী অন্য এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে করে নিয়েছেন।
এমনকী তার ভিডিও-ও দেখতে পান তিনি। যা দেখে তিনি আর স্থির থাকতে পারেননি। সরাসরি পুলিশের কাছে গিয়ে সাহায্য চান। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কানপুরের বাবুপূর্বার বাসিন্দা অমিত শর্মা জানিয়েছেন, গোবিন্দনগর কাচ্চিবস্তির বাসিন্দা রুচি বর্মার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দুজনে ৪ জুন ২০২০ তারিখে আর্যসমাজ মন্দিরে দু'পক্ষের বাড়ির সহমতিতে বিয়ে করেন।
করোনার মধ্যে বিয়ে হওয়া বাড়ির লোককে উপস্থিত ছিলেন. বিয়েতে আর্য সমাজ মন্দিরে হওয়া বিয়ের ছবি রয়েছে। তাদের কাছে অমিত জানান, প্রেম করে বিয়ে হলেও পরবর্তীতে বাড়ির লোকের সম্মতিতেই তারা হাসি খুশি জীবন যাপন করছিলেন। বিয়ের চার মাস পরে ২৩ সেপ্টেম্বর তাঁর স্ত্রী এর মা, জামাইয়ের বাড়িতে আসেন।
তিনি জানান, বাড়িতে কারও বিয়ে রয়েছে। তাই তিনি রুচিকে তার সঙ্গে নিয়ে যেতে চান। এতে আপত্তির কোন কারণ দেখেনি অমিত এবং তাঁর পরিবার। রুচি নিজের সাথে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায় এবং সমস্ত গয়নাগাঁটি নিয়ে যায়। বাপের বাড়ি যাওয়ার কিছুদিন পর স্ত্রীকে যখন ফোন করেন অমিত, তাঁর মোবাইল বন্ধ ছিল। বার বার ফোন করেও বন্ধ থাকায় ব্যাপার কি জানতে সরাসরি শ্বশুরবাড়ি চলে যান অমিত।
সেখানে রুচি স্বামীর সঙ্গে শ্বশুর বাড়ি ফিরতে রাজি হননি। তাকে অনেক বুঝিয়েও কাজ না হওয়ায় তিনি ফিরে আসেন। এরপর তিনি কারণ অনুসন্ধানের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন। তখনই তার সামনে এই ঘটনা আসে। অমিত বলেন, তিন দিন আগে তাঁর কাছে খবর আসে, তাঁর সঙ্গে ডিভোর্স না হওয়া সত্ত্বেও রুচি অন্য কোনও ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে করে নিয়েছেন, প্রথমে বিশ্বাস করেননি।
পরে রতনলাল নগরে আর্য সমাজ মন্দিরে তিনি যখন পৌঁছন, তখন তিনি তার স্ত্রীর দ্বিতীয় বিয়ের ভিডিও দেখতে পান। এরপর তিনি বিষয়টি শুধু বিশ্বাস করেননি প্রতিকার চেয়ে থানার দ্বারস্থ হন। অমিত খোঁজ নিয়ে আরও জানতে পেরেছেন যে তার স্ত্রী তাকে নিয়ে তিনটি বিয়ে করেছেন. সম্ভবত বিয়ে করে সম্পত্তি টাকা এবং গয়না হাতিয়ে চলে যাওয়াই রুচির পেশা. যদিও পুলিশ বিষয়টি তদন্তের আগে কোনও রকম মন্তব্য করতে নারাজ।