আজব ঘটনা আমেরিকায়! এক নার্স প্রেমে পড়ে গিয়েছেন এক চিকিৎসকের। ওই চিকিৎসক বিবাহিত। তবে তারপরও তাঁর সঙ্গে থাকছেন ওই নার্স। কারণ তাঁর স্ত্রী কোনও আপত্তি জানান।
তিনজন একসঙ্গে
ফলে এখন তাঁরা তিনজন একসঙ্গেই রয়েছেন। আর কোনও রকম বিবাদ ছাড়াই সমস্য়ার সমাধান হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনা নিউ ইয়র্কের। ওই নার্সের নাম রেবেকা বোনি। তাঁর বয়স ২৬ বছর। তিনি কাজ করেন ডাঃ মার্টি কোলের সঙ্গে। তাঁর অফিসেই আলাপ। তারপর দু'জনর মধ্যে ভাল সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
আরও পড়ুন: পালিয়ে বিয়ে দিদির, মুন্ডু কেটে খুন করে ভাই ঝুলিয়ে দিল রাস্তায়
পরে তিনি জানতে পারেন ওই চিকিৎসকের সঙ্গে এক মহিলার সম্পর্ক রয়েছে। এবং তাঁদের এনগেজমেন্টও হয়ে গিয়েছে। ওই চিকিৎসকের বান্ধবীর নাম নতাশা। তার বয়স ২৯ বছর।
আরও পড়ুন: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চক্ষু চিকিৎসাকেন্দ্র ভাঙা পড়বে? প্রতিবাদ
নতুন খাতে জীবন
তারপর তাঁর মনে হয়, চলো একদিন তাঁর বাগদত্তার সঙ্গে দেখা করা যাক। এরপর তাঁদের তিনজনের যখন দেখা হবে তাঁরা কেউই ভাবেননি এরপর তাঁদের জীবন নতুন খাতে বইতে শুরু করবে।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন সংক্রমণ ঠেকাতে ফের লকডাউন দেশে? বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন
লকডাউনে আরও কাছাকাছি
রেবেকা জানান, করোনার কারণে শহরে লকডাউন চলছিল। আর তাই সব অফিসও বন্ধ ছিল। তাই তাঁরা তিনজন একসঙ্গে সময় কাটাতেন। হামেশাই এমন হত। কখনও কুকুর নিয়ে রাস্তায় বেরোনো, কখনও ডিনার করতে যাওয়া, একসঙ্গে পার্টি করা- সবই তিনজন মিলে করছিলেন।
আরও পড়ুন: Cyclone Jawad-এর হাত ধরে ডিসেম্বরে রেকর্ড বৃষ্টি বাংলায়
২০২০ সালের মে মাসে তাঁরা বুঝতে পারেন, তাঁরা বেশিরভাগ সময়ই একসঙ্গে কাটাচ্ছেন। যেমন আর কাপলরা করে থাকেন। তিনি জানান, তখন মনে হয় আমরা যেন একটা সম্পর্কে জুড়ে গিয়েছি।
আরও পড়ুন: ব্রা ছাড়া বোল্ড ফটোশুট আইশা শর্মার, চোখে ধাঁধা লেগে যাবে
তিনি আরও জানান, তবে খুব শিগগিরি মার্টি এবং নতাশার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। তাই একটা অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মধ্য়ে পড়ে যান তাঁরা। তখন ভাবতে শুরু করেন, এবার কী করা দরকার?
আর কেউ আছেন?
তিনি জানান, এরপর তিনি ইনস্টাগ্রাম এবং অন্যান্য সাইট দেখতে থাকেন। তাঁদের মতো আর কেউ আছেন কিনা, খুঁজতে থাকেন। যাঁরা একসঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন, আর পরিবারের মতো থাকছেন।
রেবেকা জানান, মার্টি আর নাতাশার বিয়ের পরও তিনজন একসঙ্গে রয়েছেন। তাঁরা এখনও সম্পর্কে রয়েছেন। ঠিক যেন আগের মতো। এখন তিনি নিজদের বাড়ি ছেড়ে ওঁদের বাড়িতে থাকেন। প্রথমে তাঁর মা-বাবা নারাজ ছিলেন। তবে পরে তাঁরা দেখেন তিনি ওঁদের সঙ্গে ভাল রয়েছেন। তখন তাঁরাও এই বিষয়টি মেনে নেন।