Advertisement

উত্তরবঙ্গ

সেবক-রংপো রেলপথের বিরুদ্ধে মামলা, বন্ধ হতে পারে রেলপথ!

জয়দীপ বাগ
  • শিলিগুড়ি,
  • 06 Dec 2021,
  • Updated 5:53 PM IST
  • 1/8

সেবক-রংপো রেল প্রকল্প আবারও ধাক্কার মুখে। প্রকল্পর কাজ অবিলম্বে বন্ধ করার দাবি জানিয়ে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেছে উত্তরবঙ্গ বন জন শ্রমজীবী মঞ্চ।

  • 2/8

সোমবার দুপুরে শিলিগুড়ির জার্নালিস্ট ক্লাবে সংবাদ মাধ্যমে এমনই দাবি তুলেছেন মঞ্চের আহ্বায়ক সৌমিত্র ঘোষ। এদিন তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্পের ফলে বড়সড় বিপদের মুখে বনববস্তিবাসীরা।

  • 3/8

পশ্চিমবঙ্গের সাথে সিকিমকে রেলপথে জুড়তে ভারত সরকারের তরফে সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত রেলপ্রকল্প নেওয়া হয়েছে। প্রায় ৪৫ কিলোমিটার এই রেল পথের অধিকাংশটাই রয়েছে ট্যানেলের ভেতরে। যার জন্য ইতিমধ্যে পাহাড় কেটে টানেল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।

  • 4/8

সম্প্রতি রেলের প্রতিমন্ত্রী রাওসাহেব পাটিল দানবে সহ রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করে ২০২৩ সালের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।

  • 5/8

তবে এবার এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে গ্রিন ট্রাইব্যুনালে মামলা করল উত্তরবঙ্গ বন শ্রমজীবী মঞ্চ। মঞ্চের সদস্যদের অভিযোগ, পাহাড় কেটে সেবক - রংপো রেল প্রকল্পের জন্য টানেল বানানো হচ্ছে।

  • 6/8

যার ফলে ক্ষতি হচ্ছে পাহাড় এবং পরিবেশের। বিশেষ করে বড়সড় সমস্যার ও বিপদের মুখে বনবস্তিবাসীরা। গ্রিন ট্রাইবুনালের নিয়ম এবং বন সংসদ ও গ্রামসভার কোনও অনুমতি ছাড়াই জোর করে ওই রেল প্রকল্প করছে রেল কর্তৃপক্ষ। সেজন্য আদালতের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হয় বন শ্রমজীবী মঞ্চ। ১৪ ডিসেম্বর ওই মামলার প্রথম শুনানি রয়েছে। মঞ্চের বক্তব্য এই প্রকল্পের জেরে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। পাশাপাশি ২৪ টি গ্রাম সরাসরি বিপদের মধ্যে রয়েছে। তাই অবিলম্বে এটার কাজ স্থগিত রাখা উচিত। 

  • 7/8

এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষে রামসিং ভুজেল বলেন, "আমরা ইতিমধ্যেই ওই প্রকল্পের বিরুদ্ধে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের কাছে মামলা করেছি। আগামি ১৪ ডিসেম্বর এই মামলার শুনানি রয়েছে। আমরা প্রকল্পের বিরুদ্ধে নই কিন্তু আমরা চাই নিয়ম মেনে কাজ হোক। এই প্রকল্পের কোনও সরকারি অনুমতি নেই। বরং এই প্রকল্প হলে পাহাড়ের ক্ষতি হচ্ছে।"

 

  • 8/8

অন্যদিকে মঞ্চের আহবায়ক সৌমিত্র ঘোষ বলেন, এই প্রকল্পের ফলে পাহাড়ের পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ওই প্রকল্পের জন্য পাহাড়ে ধসের সংখ্যা বেড়েছে। অন্তত আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এরপর ওই প্রকল্পের সংলগ্ন গ্রামগুলো ধসে যাবে।"

Advertisement
Advertisement