Cyclone Jawad: ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের জেরে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে বাংলায়। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বাংলায় রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে।
তাঁরা জানাচ্ছেন, ডিসেম্বরে বৃষ্টি যেটা হয়েছে এক কথায় বলতে গেলে, এটা আগে দেখা যায়নি। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এমন দেখা যায়নি। তাঁরা আরও জানাচ্ছেন, এর আগে দু'বার হয়েছিল। ১৯৮১ সালে এমন একটা ঘূর্ণিঝড় বাংলার উপকূলে এসেছিল। তার আগে ১৯৭৩ সাল, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এণন হয়েছিল। বাংলাদেশ উপকূলে গিয়েছিল। ডিসেম্বরে অতি ভারী বৃষ্টি তেমন হয়নি। বাংলায় তো বটেই।
আরও পড়ুন: SRFTI-তে বসতে চলেছে সত্যজিৎ রায়ের মূর্তি, জন্মশতবর্ষে শ্রদ্ধা
দুর্যোগ শেষ বলা যেতে পারে। উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া ছাড়া আর কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। গত প্রায় দু'দিন বাংলায় প্রবল বৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ধান-ধনুক আর নাচ-গানে বাংলার মেয়েদের কার্তিক পুজো, লোকগানে লুকিয়ে সে ইতিহাস
মঙ্গলবার থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। এমনই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তারা জানাচ্ছে, মঙ্গলবার থেকে স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি। সোমবার থেকে দুর্যোগ কমে গিয়েছে অনেকটাই।
আরও পড়ুন: জাতীয় পতাকায় পরিবর্তন চেয়েছিলেন সত্যজিৎ, কারণ জানেন?
বাংলাদেশ লাগোয়া জেলা যেমন নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগণার একাংশ- সেখানে দু-এক জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। খুব কম জায়গায় কাল থেকে মেঘলা থাকবে। আজও থাকবে। উপকূলের এলাকা, উত্তর ২৪ পরগণায় মেঘলা থাকার সম্ভাবনা।
আগামী ৪৮ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে হালকা বৃষ্টি হতে পারে।
দক্ষিণবঙ্গে মঙ্গলবারের থেকে শুষ্ক। ২৪ ঘণ্টা পর ধাপে ধাপে রাতের তাপমাত্রা ৩-৫ ডিগ্রি কমতে পারে। আগামী তিনদিন কমবে। তা স্বাভাবিকের কাছাকাছি থাকবে।
১১ তারিখ থেকে তাপমাত্রা কমতে পারে আরও একটু বেশি।
স্বাভাবিক বা স্বাভাবিকের থেকে একটু ওপরে থাকবে। এক ধাক্কায় তো কমবে না। রাতের তাপমাত্রা খুব একটা বদল নেই বলে মনে করছেন তাঁরা।
মঙ্গলবার থেকেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমবে। শুষ্ক আবহাওয়া ফিরবে তিন-চার দিনে চার ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা নামবে। শুক্রবার এর পর শীতের আমেজ রাজ্যে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বৃষ্টিতে রেকর্ড হয়েছে।
এখানে ঠান্ডার নিজস্ব কোনও উৎস নেই। দীর্ঘদিন ঠান্ডা থাকে এমন নয়। উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঠান্ডা বাতাস এলে হয়, আবার বঙ্গোপসাগরে কোনও পরিস্থিতি তৈরি হলে তা নষ্ট হয়। ১১ থকে যা বলা হচ্ছে, তাতে দেখা যাবে ২-১ দিন থাকবে।
আলুর জমিতে জল জমে গিয়ে ফসলের ক্ষতি।
এর পাশাপাশি বেগুন, লঙ্কা, ফুলকপি, বাঁধাকপি গোড়ায় জল জমলে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
প্রবল বৃষ্টির ফলে বাংলার বিভিন্ন জায়াগায় জল জমে গিয়েছে।
কলকাতাতও একই ছবি। এর দেরে সমস্যায় মানুষ।