সেতু ও ভাঙ্গা রাস্তার সমস্যায় জেরবার চিলাপাতা পর্যটন কেন্দ্র। বর্ষার শুরুতেই চিলাপাতা পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশের কয়েকটি সেতু উড়ে গিয়েছে।ভাঙা রাস্তায় গাড়ি চলাচল প্রায় বন্ধ হতে চলেছে।
দেওডাঙ্গা দিয়ে চিলাপাতা প্রবেশের আগেই পেভারব্লকের কালভার্টটি ভেঙ্গে গেছে। উত্তর সিমলাবাড়ি কম্পোজিট ব্রিজের পাশের রাস্তাটি এক হাঁটু জলের তলায়।
ভাঙা রাস্তা এবং সেতু না থাকার কারণেই সিমলাবাড়ি এলাকা চিলাপাতার একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা কাটিয়ে ধীরে ধীরে পর্যটন ব্যবসা শুরু হচ্ছিল। কিন্তু বর্ষার শুরুতেই সেতু ও ভাঙ্গা রাস্তায় চিলাপাতা পর্যটন কেন্দ্রে যেতে চাইছে না পর্যটকরা।
চিলাপাতা পর্যটন কেন্দ্রে উত্তর সিমলাবাড়ি এবং কুরমাই বস্তিতে প্রায় দশটি হোমষ্টে এবং রিসর্ট রয়েছে। তবে এই এলাকা গুলোতে প্রবেশের সেতু এবং ভাঙ্গা রাস্তার জেরে পর্যটক শূন্য রয়েছে চিলাপাতা।
অন্যদিকে সিমলাবাড়ির চেলো নদীর ওপরের ব্রিজের কাজ গত তিন বছরেও শেষ হয়নি। এমনকী এই সেতু পারাপারের জন্য সার্ভিস রোড তৈরি হয়নি ৷ ফলে বিপাকে পড়েছে চিলাপাতার পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
করোনার সংক্রমণের জেরে প্রায় দুই বছর ধরে বন্ধ রয়েছে এই পর্যটন কেন্দ্রটি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কাটিয়ে উঠে পর্যটকদের জন্য মাত্র একমাস আগেই স্যানিটাইজ করা হয়েছে চিলাপাতা পর্যটন কেন্দ্রের সমস্ত হোমষ্টে, রিসর্ট, হোটেল, রেস্তোরাঁ।
পর্যটকদের জঙ্গল সাফারি করার সমস্ত জিপসিগুলোও স্যানিটাইজ করেছে পর্যটনের সাথে যুক্ত ব্যবসায়ী মহল। তবে এত কিছুর পরেও সেতু ও ভাঙ্গা রাস্তার সমস্যায় বিপাকে চিলাপাতার পর্যটন ব্যবসা। চিলাপাতা ইকো-ট্যুরিজম সোসাইটির কনভেনর অভীক গুপ্তা বলেন, এমনিতেই করোনার জন্য পর্যটন ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত। তার উপর এই ভাঙ্গা রাস্তা এবং সেতু না থাকার কারণে পর্যটকরা চিলাপাতায় আসতে চাইছেন না।
তাই প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে নিজেরাই এই সেতু এবং ভাঙ্গা রাস্তা সারাইয়ের উদ্যোগ নিয়েছি।প্রশাসনের কাছে আমাদের আবেদন দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করে চিলাপাতার পর্যটন শিল্পকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করুক।