চা বলয়ের একাদশ শ্রেণির দুই দাপুটে ছাত্রীর কীর্তিকে কুর্নিশ জানালেন আলিপুরদুয়ার জেলাশাসক। চা বাগান থেকে নারী পাচার এবং চা বাগানে বেশ কয়েকটি নাবালিকা কন্যার বিয়ে রুখে দিয়ে কন্যাশ্রী দিবসে পুরস্কৃত হলেন চা বাগানের দাপুটে দুই সাহসী ছাত্রী।
আলিপুরদুয়ার জেলার প্রশাসনিক ভবন ডুয়ার্স কন্যায় জেলা শাসকের অফিসে এদিন এই দুই কন্যার হাতে পাঁচ হাজার টাকার দুটি চেক ও ট্রফি তুলে দেন জেলা শাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা।
আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট ব্লকের মুজনাই চা বাগানের সুস্মিতা থাপা ও সুষমা থাপা বীড়পাড়া মহাবীর হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী।চা বাগানের এই দুই কন্যাই অষ্টম শ্রেণীতে পড়ার সময় থেকেই নির্ভিক দুই কন্যা চা বাগান থেকে নারী পাচার এবং নাবালিকা বিয়ে রুখতে সাহসের সাথে কাজ শুরু করে।
চা বলয়ের মতো এলাকা থেকে এমন কাজ করা যে অনেক কঠিন এবং সাহসের প্রয়োজন তা স্বীকার করে নিয়েছেন খোদ জেলা শাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা। অনেক বাধা বিপত্তি, পাচারকারীদের হুমকি উপেক্ষা করেই এই দুই ছাত্রী তাদের লক্ষে অবিচল থেকে অনেক নারী পাচার এবং নাবালিকার বিয়ে রুখে দিয়েছে।
ডুয়ার্সের চা বাগানের আদিবাসী শ্রমিক মহল্লায় অভাব অনটনের সুযোগ নিয়ে এবং বিদেশে চাকরির প্রলোভন দিয়ে মহিলা,কিশোরী, যুবতীদের বাইরে পাচার করে দেয়।
এছাড়াও অভাব অনটনের টানে কিশোরী, নাবালিকাদের অল্প বয়সেই বিয়ে দিয়ে দেবার প্রবনতা রয়েছে চা বলয়ে। আর এই কাজ বন্ধ করতেই এগিয়ে এসেছে সুস্মিতা ও সুষমা থাপা। জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা বলেন রাজ্য সরকারের দেওয়া ৫০০০ টাকা করে চেক দুই ছাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
এই দুই ছাত্রী নাবালিকা মেয়েদের বিয়ে বন্ধ করতে, এবং বাগানে নারী পাচার ঠেকাতে বিশেষ ভুমিকা গ্রহণ করেছিল। মুলত চা-বাগান এলাকায় এই কাজ করেছে দুই ছাত্রী। একি সংগে তিনি এও বলেন ১৬ই আগষ্ট থেকে শুরু হচ্ছে 'দুয়ারে সরকার' প্রকল্প। ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তে শিবির করে এই 'দুয়ারে সরকার' কর্মসূচি করাহবে।