দুদিন আগে বায়ু সেনা ঘাঁটিতে ঢুকে পড়েছিল একটি চিতাবাঘ। আচমকা জনবহুল এলাকায় ঢুকে পড়ায় আচম্বিত হয়ে যায় এলাকার বায়ুসেনা জওয়ান থেকে শুরু করে অন্যান্য লোকজন।
চিতাবাঘ এত দৌড়ঝাঁপ এর মাঝে পড়ে জখম হন এক কর্মী। শিলিগুড়ি বাগডোগরা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে এলাকার ভিতরে প্রচুর চা বাগান ঝোপঝাড় এলাকা থাকায় চিতাবাঘটি সেঁধিয়ে বসেছিল।
এদিক ওদিক দাপাদাপি করেও বায়ু সেনা জওয়ানরা ঠিক করতে পারেননি শ্বাপদটির সঠিক লোকেশন। মাঝেমধ্যে দেখা গেলেও মুহূর্তেই ঝোপ-জঙ্গলের আড়ালে লুকিয়ে পড়ছিল সাড়ে তিন ফিটের জন্তুটি।
আকারে ছোট এবং গায়ের রং জঙ্গলের সঙ্গে মিশে যাওয়ার পক্ষে আদর্শ হওয়ায় সহজে তাকে বাগে আনা যায়নি। বায়ুসেনা জওয়ানরা তল্লাশি চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে আতঙ্কে প্রায় ৪৮ ঘণ্টার বেশি কাটিয়েছেন। বেশি আতঙ্কে ছিলেন বায়ুসেনা জাওয়ানদের পরিবাররা। কোথায় রয়েছে চিতাবাঘ, কার বাড়ির পিছনে কিংবা গাছের উপরে বসে রয়েছে তা নিয়ে দুশ্চিন্তার অন্ত ছিল না তাদের।
অবশেষে ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় পরে মুক্তি পেল বায়ুসেনা ঘাঁটির বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। তবে অন্য কারও সৌজন্যে নয়, খোদ বাঘমামাজি দুদিন কাটিয়ে বায়ুসেনা ঘাঁটির দেওয়াল টপকে এলাকা ছেড়ে প্রকার পার হয়েছেন তিনি। আর তাতেই হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে কয়েক হাজার মানুষ। দুদিন প্রাণ হাতে করে ঘুরে বেড়িয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। বিশেষ করে বাচ্চাদের ঘরের বাইরে বের হতে দেওয়া হয়নি অবশেষে এলাকাছাড়া স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে দেন সকলেই।
তবে বন দফতর ঝুঁকি নিতে চায়নি। দুদিন ধরেই খাঁচা পাতা রয়েছে তাদের তরফে। ছাগল টোপ দিয়ে চিতাবাঘ ধরার খাঁচা পাতা থাকবে বলে জানিয়েছেন বাগডোগরার রেঞ্জার সমীরণ রাজ। তিনি জানান, ফের চিতাবাঘটি ফিরতে পারে। তাই এখনই খাঁচা সরানো হচ্ছে না।
ফাইল ছবি