রাত পোহালেই আর একটা স্বাধীনতা দিবস। দেশের স্বাধীনতাপ্রাপ্তির ৭৫ তম বর্ষ পূর্তি। চারদিকে জাঁক জকম। নানারকম রঙিন আলোর ফোয়ারা, রোশনাই।
তবে যাঁদের জন্য স্বাধীনতা এসেছে, নিজেদের প্রাণ বলি দিয়েছেন যাঁরা সেই সমস্ত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের শহিদ বেদি আজও চরম অবহেলায় পড়ে রয়েছে।
শিলিগুড়িতে থানা মোড়ের শহিদ বেদীতে এমনই অবহেলার ছবি ধরা পড়ল। তবে পুরনিগমের প্রশাসক বোর্ডের সদস্য রঞ্জন সরকারের দাবি অতি সত্বর ওই শহিদ বেদীকে সংস্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে পুরনিগমের তরফে।
ইংরেজদের হাত থেকে ভারতকে স্বাধীন করতে স্বাধীনতা আন্দোলন হয়েছিল। আন্দোলনে প্রাণ গিয়েছিল অনেক স্বাধীনতা সংগ্রামীর।
লড়াইটা অত্যন্ত দীর্ঘ। তাই সেই লড়াইয়ের ইতিহাস ধরে রাখতে দেশের বহু জায়গায় শহিদদের স্মরণে শহিদবেদি করা হয়েছে। স্মারক তৈরি হয়েছে।
এই শহিদ বেদিতে নিয়ম করে ২৬ জানুয়ারি, ১৫ অগাস্ট-এ শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানো হয়। কিন্তু তারপর তাঁদের আর কেউ মনে রাখে না।
একইভাবে ১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনে প্রাণ গিয়েছিল প্রচুর স্বাধীনতা সংগ্রামীর। এই স্বাধীনতা সংগ্রামীদের তালিকায় ছিলেন শিলিগুড়ির ছবিলাল সিং সহ অন্যান্যরাও।
তাঁদের স্মরণে শিলিগুড়ি থানার কাছে একটি শহিদ বেদি তৈরি করা হয়েছিল শিলিগুড়ি পুরনিগমের তরফে। কিন্তু ওই শহিদ বেদির দিকে পুরনিগম ফিরেও তাকায় না। আজ চরম অবহেলা ও জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
শুধু তাই নয় ওই শহীদ বেদিকে ঘিরে প্রায় কয়েক দশক থেকে চলছে ব্যবসা। আর যাকে ঘিরে শহরের বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে।
এই বিষয় নিয়ে শিলিগুড়ির স্বাধীনতা সংগ্রামী শিউমঙ্গল সিংয়ের নাতি নরেন্দ্র সিং বলেন, ওই শহিদ বেদির সঙ্গে স্বাধীনতা আন্দোলনের গর্বের স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। বর্তমানে এটির যা অবস্থায় রয়েছে তা সত্যি নিন্দনীয়।
অন্যদিকে এই বিষয়টি নিয়ে শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রশাসক বোর্ডের সদস্য রঞ্জন সরকার বলেন, শহরের সমস্ত শহীদ স্মৃতি গুলিকে এবং মনীষীদের মূর্তি গুলিকে রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে। ওই শহীদ বেদিটিকে সংস্কার করে যোগ্য সম্মান প্রদান করা হবে।