Advertisement

উত্তরবঙ্গ

পুজোর মুখে ফের তলিয়ে গেল পরিকাঠামো, কালিয়াচকে হাহাকার

মিল্টন পাল
  • মালদা,
  • 26 Sep 2021,
  • Updated 6:35 PM IST
  • 1/6

মালদার কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের ভীমা গ্রামে গঙ্গা নদীত ব্যপক ভাঙন। ভাঙনে তলিয়ে গেল মসজিদ বাড়ি।পাশাপাশি ভাঙনের তীব্রতায় তলিয়ে গেল শতাধিক বসত বাড়ি ও বিঘার পর বিঘা চাষের জমি। অসহায় মানুষ নিজস্ব উদ্যোগে কোন রকমে খোলা মাঠে ত্রিপল টাঙিয়ে রয়েছে ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষ। আর এই ভাঙ্গন নিয়ে শুরু হয়েছে বিজেপি তৃণমূল তরজা। তৃণমূলের দাবি ভাঙ্গন রোধে কাজ করা না হলে আন্দোলনে নামবে। পাল্টা বিজেপির দাবি শাসকদল যা করছে তাদের সম্পূর্ণটা বুমেরাং হবে।
           
 

  • 2/6

জানা গিয়েছে, মালদা কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের লালুটোলা, চিনা বাজার, ভিমাট টোলা সহ একাধিক এলাকায় এই বছর ব্যাপক ভাঙ্গন চলছে। সেই ভাঙন কিছুদিন আগে কমলেও গঙ্গার গ্রাসে ফের শুরু হয়েছে ভীমাটোলা এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গন। আর যার জেরে ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে একের পর এক বসতভিটা।

  • 3/6

চাষের জমি মসজিদ থেকে স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ প্রতিবছর ভাঙ্গন হলেও সেই ভাঙন রোধের কাজ সঠিক ভাবে করা হয় না। যার ফলে প্রতি বছর আমাদেরকে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। ভোটের সময় একাধিক রাজনৈতিক নেতৃত্বকে দেখা গেলেও। ভাঙ্গন শুরু হলে তাদের কোন পাত্তা পাওয়া যায় না।

  • 4/6

এই বছর ১ মাস ধরে ভাঙ্গন চলছে যার ফলে ৩০০ থেকে ৪০০ বাড়ি ইতিমধ্যেই গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে গেছে। তলিয়েছে চাষের জমি। অসহায় দিশাহীন ভাবে নিজস্ব উদ্যোগে যেখানে আশ্রয় নিচ্ছে গঙ্গার গ্রাস কেড়ে নিচ্ছে সেই সমস্ত জায়গা। প্রশাসনিক ভাবে তাদের সাহায্য করছে না।

  • 5/6

জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, ভাঙ্গন রোধে কেন্দ্র কোনরকম সহযোগিতা করছে না। সর্বক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা করছে। যেহেতু এখানে তৃণমূল সরকার রয়েছে সেই জন্য মানুষকে বিপদে ফেলার জন্য কেন্দ্র কোন কাজ করছে না। বিস্তীর্ণ কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লক, মানিকচক ব্লকের ভাঙ্গন হচ্ছে। কেন্দ্র সমস্ত কাজে বাধা দিচ্ছে। আমরা তা মেনে নেব না। আমরা এর বিরুদ্ধে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে তুলবো।
         

 

  • 6/6

পাল্টা বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দ্র চন্দ্র মন্ডল বলেন, গঙ্গা ভাঙ্গন নিয়ে সিপিএম ৩৪ বছরের রাজনীতি করেছে। ১১ বছর ধরে তৃণমূল কংগ্রেস রাজনীতি করছে। বিজেপি চেয়েছিল কেন্দ্রকে তৃণমূল সরকার লিখুক। সরকার যদি কেন্দ্রীয় সরকারকে বলুক আমাদের গঙ্গা ভাঙ্গন রোধে দরকার আছে। তাহলেই নদীর পাড় বাঁধানো কংক্রিটের হয়ে যাবে। ঠুনকো সেন্টিমেন্ট দিয়ে তৃণমূলকে যে রাজনীতি করতে যাচ্ছে তা সমস্তটা বুমেরাং হবে।

Advertisement
Advertisement