শিলিগুড়ি ও লাগোয়া এলাকায় নিজেদের খেয়ালে অক্লান্তভাবে পরিশ্রম করে চলেছে রেড ভলান্টিয়াররা।
কখনও স্যানিটাইজ, কখনও রোগীর বাড়িতে অক্সিজেন পৌঁছনো, কখনও রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো নিয়ে উদ্যোগ চলছেই।
শনিবার শিলিগুড়ি রেড ভলেন্টিয়ারদের পক্ষ থেকে শিলিগুড়ি দার্জিলিং মোড় সবজি বাজার এবং দার্জিলিং মোড় ট্রাফিক পয়েন্টে স্যানিটাইজ করা হয়।
ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন এসএফআই-এর দার্জিলিং জেলা সভাপতি সাগর শর্মা, অভিজিৎ চন্দ, রাজা দে, অঙ্কিত দে, অনিন্দিতা চক্রবর্তী, সুরজ কুন্ডু, বিমান ভট্টাচার্য।
করোনা সংক্রমণকে রুখতে এবং শিলিগুড়িকে কোরোনা মুক্ত শহর গড়ে তুলতে রেড ভলেন্টিয়ারদের পক্ষ থেকে লাগাতার শিলিগুড়ি বিভিন্ন বাজার স্যানিটাইজ করা হচ্ছে।
রোগ ছড়ানোর চেয়ে আগেই প্রতিরক্ষা মজবুত করতে হবে বলে মনে করছেন তাঁরা। তাই জীবাণুমুক্ত করণে তাঁদের বেশি জোর।
রবিবারও শিলিগুড়ির মানুষের মধ্যে করোনা অতিমারীর আতঙ্ক দূর করতে এবং শহরকে জীবাণুমুক্ত করতে শিলিগুড়ি রেড ভলেন্টিয়ারদের পক্ষ থেকে লাগাতার কর্মসূচি চালানো হয়।
এদিন শিলিগুড়ির বিধান মার্কেট সব্জি বাজার, ফল বাজার, ফুল মার্কেট সহ আরও বিভিন্ন এলাকায় স্যানিটাইজ করা হয়।
শিলিগুড়ি জংশন এলাকায় রেড ভলান্টিয়ারদের অন্য একটি দল স্যানিটাইজ কর্মসূচি কার্যকর করে।
যতদিন না করোনা সম্পূর্ণ নির্মূল হয়, ততদিন এই কর্মসূচি চলবে শিলিগুড়ির বিভিন্ন প্রান্তে বলে এদিন জানানো হয়েছে।
শহরে করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে বহু সমাজকর্মী কাজ করছেন। অনেকেই ভাল করছেন। তার মধ্যে অন্যতম রেড ভলান্টিয়াররা।
তাঁরা অবশ্য গোটা রাজ্য়েই তাঁদের কর্মকাণ্ডের জন্য স্যালুট আদায় করে নিয়েছেন।
একের পর এক নির্বাচনে হেরে গেলেও মানুষের পাশে থাকছেন। কোথা থেকে অর্জন করছেন এই প্রাণশক্তি!
মানুষের পাশে থাকব। এটাই শক্তি। এর চেয়ে আর বেশি কিছু চাই না। মানুষ চান বা না চান, মানুষের পাশে থাকতেই ভালবাসি।