Advertisement

উত্তরবঙ্গ

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও চাকরির দাবি, অস্বস্তিতে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন

অসীম দত্ত
  • 30 May 2021,
  • Updated 8:13 PM IST
  • 1/9

জেলা শাসকের সংবর্ধনা সভায় এসে চাকরি স্থায়িকরণের দাবি তুললেন শ্মশানকর্মী সহ পুরসভার অন্যান্য অস্থায়ী কর্মীরা। প্রথম সারির কোভিড-১৯ যোদ্ধাদের উৎসাহ যোগাতে সংবর্ধনা সভার আয়োজন করেছিলেন আলিপুরদুয়ার জেলা শাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা।

  • 2/9

রবিবার আলিপুরদুয়ার মিউনিসিপালিটি প্রেক্ষাগৃহে দুপুর দুটোর সময় ৩০ জন করোনা যোদ্ধাদের হাজির হন সেই সংবর্ধনা সভায়। এই সংবর্ধনা সভায় এসেই শ্মশান কর্মীরা তাদের চাকরি স্থায়িকরণের দাবি তুললেন। এই সংবর্ধনা সভায় জেলা শাসক সহ উপস্থিত ছিলেন মহকুমাশাসক প্রিয়দর্শিনী ভট্টাচার্য, জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃদুল গোস্বামী,পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান মিহির দত্ত প্রমুখ।

  • 3/9

এদিনের সংবর্ধনা সভায় হাজির ছিলেন শ্মশানের কর্মী, অ্য়াম্বুল্যান্স চালক, পুরসভার সাফাই কর্মী। সব মিলিয়ে মোট ৩০ জনের মতো হাজির ছিলেন এই সংবর্ধনা সভায়। এদিন জেলা শাসক করোনা যোদ্ধাদের হাতে নগদ ৫০০ টাকা, রাজ্য সরকারের প্রশংসা পত্র, রেনকোট, মাস্ক, স্যানিটাইজার তুলে দেন।

  • 4/9

জেলা শাসক সুরেন্দ্রকুমার মিনা বলেন শ্মশানের কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর দেহ সৎকার করছেন। তাদের জন্যই এই সমাজ বেঁচে আছে।এছাড়াও এম্বুলেন্স কর্মী যারা করোনা আক্রান্ত রোগীদের বাড়ি থেকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে দিচ্ছেন, এবং যারা সাফাই কর্মী সমাজে সকলের অবদান গুরুত্বপূর্ণ। এই সমাজকে এই কর্মীরাই বাঁচিয়ে রেখেছে।
 

  • 5/9

চাকরি স্থায়ী করণের বিষয়ে জেলা শাসক কোনও মন্তব্য করেননি। আলিপুরদুয়ার শ্মশানের কর্মী শঙ্কর দে বলেন, দিন রাত আমরা নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছি।

  • 6/9

প্রত্যেক দিন আমাদের করোনা রোগীর দেহ দাহ করতে হয়। আমরা প্রাণের মায়া ত্যাগ করে সমাজের কাজ করছি।

  • 7/9

অথচ আমাদের চাকরির কোনও নিশ্চয়তা নেই। আমাদের দাবি আমাদের চাকরি স্থায়ী করে দিক সরকার।

  • 8/9

যাতে আমাদের মৃত্যুর পর আমাদের পরিবারকে না খেয়ে মরতে না হয়। শঙ্কর বলেন, আমাদের কাজ ২৪ ঘন্টা। খাওয়া, ঘুম বাদ দিয়ে কাজ করছি।আমাদের চাকরি স্থায়ী হলে পারিবারিক নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা থাকবে না।

  • 9/9

এদিকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মতো নিরামিষ আয়োজনে এভাবে অস্বস্তিতে পড়তে হবে, তা কল্পনা করেননি, জেলা প্রশাসন। তাঁরা এখন বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন।

Advertisement
Advertisement