জব্বর শীতের দিকে এগিয়ে চলেছে দক্ষিণবঙ্গে। তাপমাত্রা জোর কদমে কমে চলেছে। আগামী কয়েকদিনে সেটা আরও কমবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এর ফলেই একটা অদ্ভুত ঘটনা ঘটে গেল সোমবার। দক্ষিণবঙ্গের বোলপুর-শান্তিনিকেতন তাপমাত্রা উত্তরবঙ্গের শৈলশহর কালিম্পংয়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার থেকে নীচে থাকলো।
সোমবার সকাল থেকে কুয়াশাতে ঢেকে যায় শান্তিনিকেতন, বোলপুর শহর। শান্তিনিকেতনে গাছপালা থাকার জন্য কুয়াশা পরিমাণ ছিল অনেক বেশি।
ঝরে পড়া শিশিরের সঙ্গে কুয়াশায় ঢাকা শান্তিনিকেতনের ছাতিমতলা, বকুলবীথি, আম্রকুঞ্জ, ঘণ্টাতলা, নতুন বাড়ি, কালোবাড়ি, সিংহ সদন, শান্তিনিকেতন ভবন, কাচের মন্দির যেন অন্য এক ভুবন।
আর ঠান্ডার আমেজ নিতে রাস্তায় বেড়িয়ে পড়েন পর্যটকেরা। শীত পড়তেই শান্তিনিকেতনে ভিড় জমিয়েছেন কয়েক হাজার পর্যটক। সোনাঝুড়ি হাটে ভিড় চোখে পড়ার মত।
আবহাওয়া দফতরের দেওয়া তথ্য অনুসারে রবিবার রাতে শান্তিনিকেতনের তাপমাত্রা নেমে আসে ৭.১ডিগ্রিতে। যেখানে কালিম্পং-এর তাপমাত্রা ছিল ৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আলতো পায়ে হেমন্ত যখন একটু একটু করে চলে যেতে শুরু করেছে। গত দুদিন বৃষ্টি পর এবার কুয়াশায় ঢেকেছে শান্তিনিকেতন, সোনাঝুড়ি,শালবাগান।
এই সময়ে শান্তিনিকেতনের হিমেল বাতাস দেয় অনাবিল এক প্রশান্তি।
লাল মাটির রাস্তা ধরে হাঁটতে হাঁটতে তখন মনে থাকে কেবল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা।
এদিকে এই ঠান্ডার আমেজ নিতে নিতে কলকাতা থেকে আসা এক পর্যটক বলেন, কলকাতা ঠান্ডা পড়েছে কিন্তু অনুভব করা যায় না। আর শান্তিনিকেতনের হাড় কাঁপান ঠান্ডা। এর মজায় আলাদা।