দার্জিলিং বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে, পাহাড়ের কোল ঘেঁষে, কু ঝিক ঝিক শব্দে ছুটে চলা ট্রেন। যা পরিচিত ট্রয় ট্রেন নামে। কিন্তু করোনা কালে দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ ছিল এই পরিষেবা।
পাহাড়ের রানি দার্জিলিং-এর অন্যতম আকর্ষণই টয় ট্রেন। টানা ১০৭ দিন বন্ধ থাকার পর সোমবার থেকে দার্জিলিং-এ ফের চলতে শুরু করল টয়ট্রেন।
প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, রোজ ছ’টি করে ট্রেন দার্জিলিং থেকে ঘুম হয়ে আবার দার্জিলিং-এ ফিরে আসবে। তিনটি স্টিম ইঞ্জিনে ও তিনটি ডিজেল ইঞ্জিনের মাধ্যমে চলবে এই ট্রেন।
এর মধ্যে বাতানুকূল কোচ যেমন থাকছে, তেমনই নতুন ভিস্তাডোম কোচও থাকবে। ইতিমধ্যেই দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের তরফে জয় রাইডের সময়সূচিও প্রকাশ করা হয়েছে। অন্যান্য ট্রেনের মতোই এই জয় রাইডের টিকিট বুকও অনলাইনে করতে পারবেন আগ্রহী পর্যটকরা।
কোভিডের কারণে বন্ধ হয়ে থাকা টয় ট্রেন তার ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা ধরে রাখতে পারবে কিনা সেই নিয়ে দেখা গিয়েছিল সংশয়। অবশেষে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে পর্যটকদের জন্য পৃথিবী বিখ্যাত এই টয় ট্রেন পরিষেবা আবার চালু করলো।
গতবছর করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পরপরই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল টয় ট্রেন পরিষেবা। মাঝখানে কিছুদিনের জন্য চালু হয়েছিল বটে, তবে দ্বিতীয় ঢেউতে ফের তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। নতুন করে জয় রাইড চালু করার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা সকলেই।
উত্তরবঙ্গে আশা পর্যটকদের কাছে বরাবরই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে বা DHR এর টয় ট্রেন। খাড়া পাহাড়ে খাদের গা বেয়ে ছোটো ছোটো ঝর্ণা পেরিয়ে দার্জিলিঙে পৌঁছানোর আমেজ পর্যটকদের ভ্রমণকে আরও বেশি রোমাঞ্চকর করে তোলে। করোনা পরিস্থিতি একটু ভাল হতেই আবার পর্যটকরা পাহাড় মুখী হতে শুরু করেছেন। তাঁদের কাছে টয় ট্রেন চালু হওয়া দারুণ খুশির খবর।
তবে সরকারের তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, করোনা টিকার ডাবল ডোজ বা আরটিপিসিআর টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট দেখালেই পাহাড়ে যেতে পারবেন পর্যটকরা।
এদিকে জয় রাইডের ক্ষেত্রেও মানতে হবে কোভিড বিধি। রেল দফতর জানিয়েছে, প্রত্যেক যাত্রীরা মুখে মাস্ক পরে, হাত স্যানিটাইজ করে তবেই ট্রেনে উঠতে পাড়বেন।