রাজ্যে ভোটের জন্য প্রতিবারের মতোই এ বারও প্রচুর বাস তুলে নেওয়া হয়েছিল রাস্তা থেকে। এবারের বিধানসভা নির্বাচনী পর্বে জনসাধারণের জন্য সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে বেশ কয়েক হাজার বাস ‘ভোটের ডিউটি’ করেছে।
কিন্ত রাজ্যে ভোট মিটে যাওয়ার চার মাস পরেও নিজেদের প্রাপ্য টাকা পাননি রাজ্যের অধিকাংশ বেসরকারি বাস-মিনিবাসের মালিকরা। তাই অনেক ক্ষেত্রে বাকি পড়েছে দিন আনা দিন খাওয়া বাস শ্রমিক-কর্মচারিদের।
মূলত, রাজ্যের পুলিসের তরফে হুকুমে দখল করা গাড়ির বিল চার মাস ধরে ফেলা রাখা হয়েছে বলে এবার সরাসির অভিযোগ করেছে বেসরকারি বাস মালিক সংগঠন। এমনিতেই করোনা মহামারীর জেরে রাজ্যের বাস শিল্প কার্যত ‘কোমায়’ চলে গিয়েছে। তারই বকেয়া টাকা অযথা আটকে রাখায় সমস্যায় পড়েছেন অসংখ্য বাস মালিক।
এই প্রসঙ্গে রাজ্য বেসরকারি বাস সিন্ডিকেটসের জয়েন্ট কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক (জেনারেল সেক্রেটারি) তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ভোটের কাজে তুলে নেওয়া বাস প্রতি দৈনিক ২,৩০০ টাকা ভাড়া দেওয়ার কথা। নির্বাচন কমিশন সে টাকা আগেভাগেই মিটিয়ে দিয়েছে। তা সত্ত্বেও এই টাকা আটকে রাখা হয়েছে।”
তপনবাবু বলেন, “এই ঘটনা নতুন নয়, বছরের পর বছর ধরে এ রাজ্যে এমনটাই হয়ে আসছে। ফলে নিজেদের উপযুক্ত পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বাস মালিকরা। শুধু তাই নয়, পাওনা টাকা পেতে অযথা হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে তাঁদের।”
শুধু ভোটের কাজে তুলে নেওয়া বাস প্রতি দৈনিক ২,৩০০ টাকা ভাড়া ছাড়াও বাসের শ্রমিক-কর্মচারি (চালক-সহ ৩ জন কর্মচারী) দৈনিক খোরাকি বাবদ মাথাপিছু ১৬০ টাকা করে মোট ৪৮০ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। সে টাকাও পাওয়া যায়নি।
ভোট মিটে যাওয়ার এত দিন পরেও কেন রাজ্যের অধিকাংশ বেসরকারি বাস মালিকরা তাঁদের পাওনা টাকা পেলেন না, ওই টাকা কবে নাগাদ পাওয়া যেতে পারে— এই প্রশ্নগুলির উত্তর জানতে চান রাজ্য বেসরকারি বাস সিন্ডিকেটসের জয়েন্ট কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে পুলিস কর্তাদের তরফে কোনও উত্তর মিলছে না বলেই অভিযোগ করেন তিনি।