শীতকালেও ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি হচ্ছে। মাঘের শেষেও বইছে ঠান্ডা হাওয়া। এমন খামখেয়ালি আবহাওয়ার প্রভাব পড়ছে ধান চাষে।
লোকসানের জেরে নাজেহাল চাষিরা। বোরো ধান রোপনের ক্ষেত্রে সতর্ক হয়েছেন তাঁরা। কম জমিতে চাষ করছেন।
বাঁকুড়ার ইন্দাস জেলার শস্যগোলা। সেখানে এবার বোরো ধানের চাষ কমিয়ে দিয়েছেন কৃষকরা। কারণ খামখেয়ালি আবহাওয়া।
প্রতিটি ব্লকেই কম করে বোরো ধানের চাষ করছেন কৃষকরা। কারণ এর আগে মরসুমে আমন ধান চাষ করে ঘরে লাভ তুলতে পারেননি।
বেশিরভাগ ধান মাঠেই নষ্ট হয়ে গেছে। অজানা রোগ, ঝোড়ো হাওয়া ও অকাল বর্ষণের ফলে ধান চাষে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয় ধান চাষিদের।
বাঁকুড়া ইন্দাসের বেশিরভাগ মানুষই চাষবাসের উপর নির্ভরশীল। আর শুধুতে জমিতে চাষিই করেন না মজদুরি করেও আয় হয় অনেকের। মহিলারাও কাজ করেন। ফলে কম জমিতে চাষ হলে শ্রমিকদের আয় কমবে।
ইন্দাস ব্লকের করিশুন্ডা অঞ্চলের চাষিদের বক্তব্য, আবহাওয়ার কারণে আমন ধান মাঠেই শেষ হয়ে গিয়েছে। মাঘেও বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে ক্ষতির আশঙ্কায় কম জমিতে চাষ করছেন।
কৃষক সহদেব কুণ্ডুর কথায়,'আমন ধান চাষ করে লোকসান হয়েছে। দুর্যোগের জন্য আমন ধান ভাল হয়নি।' আর এক কৃষক জানান,'আমন ধান চাষে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। তাই সংসার চালাতে যতটা দরকার ততটাই চাষ করছি। এখানে সবাই ধান চাষ কমিয়ে দিয়েছে।'
গোটা রাজ্যে খামখেয়ালি আবহাওয়ার প্রভাব ধান চাষের উপর পড়েছে বলে খবর। ফলে জোগান ও চাহিদার সমানুপাতিক অর্থনীতির নিয়মে চালের দামও বাড়ার সম্ভাবনা।