ঘূর্ণিঝড় অশনি এখনও উপকূলের দিকেই অগ্রসর হচ্ছে। ক্রমেই ঘূর্ণিঝড়ের গতি কমছে। তবে এখনও প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আকারেই বঙ্গোপসাগরের বুক রয়েছে অশনি।
দেশের মৌসম ভবন জানাচ্ছে , এই মুহূর্তে অন্ধ্রের কাঁকিনাড়া থেকে ২৬০ কিলোমিটার, বিশাখাপত্তনম থেকে ৩০০ কিলোমিটার, গোপালপুর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার ও পুরী থেকে ৫৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় অশনি।
ভারতীয় পূর্ব উপকূলের দিকে এগোচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড়। আজই এই ঘূর্ণিঝড় বাঁক নিয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে এগোতে পারে। ওড়িশার উপকূল বরাবর বাংলার দিকে এটি এগোতে পারে বলে পূর্বাভাস মৌসম ভবনের।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অশনি ওড়িশা উপকূলের খুব কাছে পৌঁছে যাবে। মৌসম ভবনের অনুমান, এরপর এই ঘূর্ণিঝড় ডানদিকে বাঁক নিয়ে উপকূল বরাবর এগোতে থাকবে পশ্চিমবঙ্গের দিকে। তবে এখনও মনে করা হচ্ছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল স্থলভাগে হবে না।
এই মুহূর্তে পশ্চিম মধ্য ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে অশনি। তা ঘণ্টায় ১০ কিমি বেগে অগ্রসর হচ্ছে। অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের আরও কাছে অশনি। আর তার জেরেই আজ সকাল থেকে কলকাতা ও হাওড়ায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবারও সকাল থেকেই কখনও রোদ, কখনও মেঘের খেলা চলেছে কলকাতার আকাশ জুড়ে।দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে এদিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে ১০ থেকে ১২ মের মধ্যে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হবে। এর মধ্যে বিশেষ করে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের কোনও কোনও জায়গায় ভারী বৃষ্টি হবে।
আবহাওয়া দফতরের তরফে সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর ছাড়াও কলকাতা, হাওড়া ও নদিয়া জেলায় ভারী (৭-১১ সেমি) বৃষ্টি হবে। ১২ মে-র মধ্যে হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও নদিয়া ভারী বৃষ্টি হবে। যার জন্য হলুদ সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।
মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে আবহাওয়া দফতরের তরফে লাল সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে ১০ মে থেকে তাঁরা যেন সমুদ্রে মাছ ধরতে না যান।