Boro Maa Naihati: প্রতি বছর কালীপুজোর সময়টায় নৈহাটির বড়মায়ের পুজো দেখতে উপচে পড়ে দর্শনার্থীদের ভিড়। নয় নয় করে নয় দশক পেরিয়ে বছর ছয়েক পরেই শতবর্ষে পা দেবে এই পুজো।
ছবি: নৈহাটির বড় মায়ের ফেসবুক পেজের সৌজন্যে।
শতবর্ষের দোরগোড়ায় পৌঁছে ভক্তদের জন্য বড় মায়ের দর্শনের পাকাপাকি ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হয়েছে নৈহাটির বড়মা পুজো সমিতি। তৈরি হচ্ছে মড় মায়ের কষ্টিপাথরের মূর্তি। ইতিমধ্যে রাজস্থান থেকে আনা শিল্পী আনিয়ে কষ্টিপাথর কেটে মায়ের মূর্তি গড়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
ছবি: নৈহাটির বড় মায়ের ফেসবুক পেজের সৌজন্যে।
কালীপুজোর সময় ভক্তরা এখানে ২১ ফুটের বিশাল কালীমূর্তি দেখেন। তবে কষ্টিপাথরে তৈরি মূর্তিটি সেই তুলনায় অনেক ছোট হচ্ছে। জানা গেছে, কষ্টিপাথরে তৈরি মায়ের মূর্তির উচ্চতা সাড়ে চার ফুট।
ছবি: নৈহাটির বড় মায়ের ফেসবুক পেজের সৌজন্যে।
যদিও বেদির উপর এই মূর্তি বসালে তার উচ্চতা হবে সাড়ে ৭ ফুট। এই বিগ্রহ তৈরির পর এতেই নিত্যপুজো পাবেন বড়মা। তবে কালীপুজোর সময় পুরনো প্রথা মেনেই ২১ ফুটের মাটির কালীমূর্তি তৈরি করা হবে।
ছবি: নৈহাটির বড় মায়ের ফেসবুক পেজের সৌজন্যে।
প্রায় একশো বছর আগে নৈহাটির বাসিন্দা ভবেশ চক্রবর্তী নদিয়ার শান্তিপুরে রাস উৎসবে গিয়ে সেখানে বিশাল কালীমূর্তি দেখে মুগ্ধ হয়ে যান। নৈহাটিতে এমন বড় বিগ্রহ করে মায়ের পুজো করার ইচ্ছে হয় তাঁরও।
ছবি: নৈহাটির বড় মায়ের ফেসবুক পেজের সৌজন্যে।
ইচ্ছে পূরণে অরবিন্দ রোডে মা কালীর বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন ভবেশ চক্রবর্তী। শুরুতে এই কালী মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতার নামেই মা ভবেশ কালী নামেই পরিচিত ছিলেন। তবে পরবর্তিকালে এই ভবেশ কালীই হয়ে যান বড়মা।
ছবি: নৈহাটির বড় মায়ের ফেসবুক পেজের সৌজন্যে।
বড় মায়ের নতুন বিগ্রহ, নতুন ধর্মশালা তৈরির জন্য বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অর্থ সাহায্য আসছে। দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকেও অর্থ আসছে মন্দিরের উন্নয়নে। প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচ হচ্ছে নৈহাটির অরবিন্দ রোডে ধর্মশালা তৈরির জন্য।
ছবি: নৈহাটির বড় মায়ের ফেসবুক পেজের সৌজন্যে।
জানা গিয়েছে, বড় মায়ের বিগ্রহ তৈরি হতে আরও কয়েক মাস সময় লাগবে। বিগ্রহ তৈরি হয়ে গেলেই কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বর, তারাপীঠ-সহ রাজ্যের বিভিন্ন শক্তিপীঠ থেকে পুরোহিত এনে হোম-যজ্ঞ করে তা প্রতিষ্ঠা করা হবে মন্দিরে।
ছবি: নৈহাটির বড় মায়ের ফেসবুক পেজের সৌজন্যে।