যেন ফুঁসছে দিঘা। সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠেছে। আর এর ফলে জল ঢুকতে শুরু করে দিয়েছে নগরে। দিঘার অনেক জায়গায় বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে। সমস্যায় পড়েছেন মানুষ। ইতিমধ্যে অনেককেই নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে প্রশাসন। সব ছবি: তাপস বৈরি
একই অবস্থা তাজপুর, মন্দারমণিতেও। সেখানে সমুদ্রের কাছে অনেক হোটেল রয়েছে। সেখানে জল ঢুকতে শুরু করেছে। তবে প্রশাসন আগে থেকে সতর্ক ছিল। তাই বলা যেতে পারে, সেখানকার মানুষদের নিরাপদ দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গত কয়েকদিনে দিঘা, তাজপুর, মন্দারমণিতে পর্যটক ছিল না বললেই চলে। দুর্যোগের আশঙ্কায় সে দিকে আর কেউ পা বাড়াননি। যাঁরা সেখানে গিয়েছিলেন, তাঁরা যে যাঁর বাড়ি ফিরে এসেছেন।
তাণ্ডব শুরু করে দিয়েছে ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস' (Cyclone Yaas)। ল্যান্ডফল করে আরও কিছুটা সময় রয়েছে। তবে এরই মাঝে বাংলা এবং ওডিশায় শুরু হয়ে গিয়েছে তুমুল বৃষ্টিপাত। সঙ্গে প্রবল গতিবেগে হাওয়া। উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র। গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে বুধবার নবান্নে রাত জেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ওডিশার ধামড়ায় ল্যান্ডফল করার কথা ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস' (Cyclone Yaas)-এর। তার আগে এর জেরে কলকাতায়ও শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত। প্রবল আতঙ্কে রয়েছেন মানুষ। ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস' (Cyclone Yaas) ল্যান্ডফল করার কথা ওডিশার ধামড়ায়। আবহাওয়াবিদরা আগে পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, সেটি ওডিশার বালেশ্বরে স্থল ভাগ ছুঁতে পারে। তবে সেটি দিক পরিবর্তন করেছে।
মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে দেওয়ার কাজ করেছে বাংলার প্রশাসন। সেই কাজে সাহায্য করেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর (এনডিআরএফ বা NDRF)। ইতিমধ্যে কয়েক লক্ষ মানুষ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিক, মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ৯ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গা সরিয়ে এনেছি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোট ৩ লক্ষ অফিসার, কর্মী, পুলিশ রয়েছে।। ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস' সামলানোর ক্ষেত্রে রাজ্য কী ব্যবস্থা নিয়েছে, সে ব্যাপারে সাংবাদিকদের জানান তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, প্রয়োজনে সেনা নামাব। সবাইকে নামানো হবে।দুর্যোগের সময়, দুর্যোগ কবলিত এলাকায় যারা কাজ করে, তারা সবাই নামে।এদিন তিনি বলেন, সুন্দরবনে জল ঢুকে গিয়েছে। ৯ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গা সরিয়ে এসেছি।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগের বার মানে আমফানের সময় ১০ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে এনেছিলাম। তাঁদের শিবিরে রাখা হয়েছে। বাংলায় ৪ হাজার শিবির রয়েছে। আমরা তৈরি করেছি।
বুধবার রাতে নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় পরিস্থিতির ওপর নজর রাখেন। তিনি বৃহস্পতিবারও নবান্নে রাতে থাকবেন।
অনেক মানুষের ক্ষতি হয়েছে। ভেঙে গিয়েছে ঘরবাড়ি। কবে তাঁরা সে সব মেরামত করতে পারবেন, তা অনিশ্চিত।