মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (Cyclone Yaas) অতিশক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে গিয়েছে। আইএমডি-র ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, সকাল ৯টায় শুরু হয়ে গিয়েছে ইয়াসের ল্যান্ডফল।
তাণ্ডব চলছে দিঘায়। ওড়িশা বালেশ্বর সহ উপকূল এলাকায় সমুদ্রের জল সব ভাসিয়ে দিচ্ছে। ভয়াবহ পরিস্থিতি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিভিক ভলান্টিয়ার, অফিসার সহ ৩ লক্ষ পুলিশ মোতায়েত করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টা ধরে ডিউটি করছেন বিপর্যয় মোকাবিলা, পুরসভা, পঞ্চায়েত, পিডব্লুউডি, বিদ্যুৎ, সেচ, কৃষি দফতরের প্রায় ৭৪ হাজার কর্মী।
ঝড়ের আতঙ্কে আঁটোসাঁটো সুরক্ষা ব্যবস্থার ঘেরাটোপে কলকাতার পথঘাট জনশূন্য। শহরের বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে বাসিন্দাদের সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের জেরে ২০ হাজার বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। ১৫ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে। বুধবার নবান্নে এই কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের জেরে বিভিন্ন জেলায় জল জমে গিয়েছে, জমা জলের স্তর বাড়তে শুরু করেছে। তবে জল সরবরাহ ঠিক রয়েছে কলকাতায়। সারাক্ষণ মনিটরিং চলছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
মানুষের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে বিপর্যয় মোকাবিলায় বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে কলকাতা ও নদী সংলগ্ন এলাকায়। বেশ কিছু জায়গায় ভেঙে পড়েছে বড় গাছ। সেগুলি পরিষ্কার করতে ইতিমধ্যেই রাস্তায় নেমে পড়েছে কলকাতা পুর নিগমের টিম।
কলকাতার পূর্ব অংশে, মধ্য কলকাতায় এবং পূর্ব মেদিনীপুরের জন্য রয়েছে ৩ কলাম সেনা। কলকাতার দক্ষিণে, বেহালা এবং হুগলি জেলার জন্য এক কলম করে সেনা মোতায়েন রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের জেরে কলকাতার ৯টি ফ্লাইওভার বন্ধ করে দিল কলকাতা পুলিশ। এগুলি হল, গার্ডেনরিচ, তারাতলা, পার্কস্ট্রিট, উল্টোডাঙা, চিংড়িঘাটা, গড়িয়াহাট, এজেসি বোস রোড, মা ফ্লাইওভার ও লকগেট ফ্লাইওভার।