Durga Puja 2021: পুজো আসছে। করোনা সংক্রমণের ভয় রয়েছে। তবে সবের মধ্য়েই সারা বাংলা মাতবে আনন্দে। আর এদিকে, বায়না না পেয়ে ধুঁকছেন হাবড়ার মহিলারা ঢাকিরা।
গত কয়েক বছর ধরে পুরুষদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মণ্ডপে মণ্ডপে মহিলা ঢাকির চাহিদাও বাড়ছিল।
বলা চলে, পুরুষদের থেকে মণ্ডপে মহিলা ঢাকিদের উপস্থিতি বাড়তি নজর কাড়ছিল পুজো উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে দর্শকদের।
বিভিন্ন অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী ও পার্বণে এ রাজ্য তো বটেই ভিন রাজ্যেও কদর বাড়ছিল তাঁদের।
তবে গত বছর এবং এ বছর করোনা পরিস্থিতি থাকায় পুজো উদ্যোক্তারা কার্যত হাত গুটিয়ে নিয়েছেন।
সত্যি কথা বলতে কী এ ছাড়া তাদের আর কোনও উপায়ও নেই।
অনেক জায়গায় অডিও রেকর্ডিংয়ের মাধ্যমে ঢাকের বাজনা শোনা গিয়েছে। কারণ বাজেট কমেছে।
আর তাই দু'পয়সা বাঁচানোর জন্য এই পন্থা। করোনা ধাক্কা দিয়েই চলেছে।
তাই ভাঁটা পড়েছে ঢাকিদের রুজি রোজগারে। করোনা গত দেড় বছরের বেশি সময় ধরে সব ছারখার করে চলছে। প্রভাব পড়েছে এখানেও।
উত্তর ২৪ পরগণার হাবড়ার বাণীপুর এলাকায় অশোকনগরের কয়াডাঙ্গা এলাকার অমূল্যচন্দ্র নন্দী রিদিম মিউজিক কলেজ নামে একটি ঢাক প্রশিক্ষণ সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ঢাকিরা সাংবাদিক সম্মেলন করে তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
পাশাপাশি রাজ্য সরকারের কাছে বেশ কিছু আবেদন করেন তাঁরা।
বছর চারেক আগে থেকে পথ চলা এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ৫০ থেকে ৬০ জন মহিলা ঢাকি।
এ ছাড়াও ৩০-৩৫ জন পুরুষ ঢাকি। প্রত্যেকেরই একই সমস্যা। এবার তেমন বায়না হয়নি। সরকারি প্রোগ্রাম মেলেনি।
তাই সমস্যায় প্রত্যেকেই। ঢাকশিল্পীদের আবেদন, ঢাকের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীদের বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কথা ভেবে যেন সাহায্য করে সরকার।
এর পাশাপাশি কেউ উদ্যোগ না নেওয়ায় অনেক ঢাকি শিল্পীরা ভ্যাকসিন দিতে পারেননি।
তাই শেষ মুহুর্তে কোনও বায়না হলেও না ছেড়ে দিতে হয়! এমনটাও আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অশোকনগরের এই ঢাকি সংস্থার সম্পাদক সজল নন্দী।