লকডাউনে বিপর্যস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে খাবার তুলে দিচ্ছেন বা দিয়েছেন অনেকেই। কিন্তু সেবকের বাঁদরদের অবস্থাও অত্যন্ত শোচনীয়। তাঁদের পাশে দাঁড়াতে আসেনি কেউই।
গাড়ি চলাচল প্রায় বন্ধ। ফলে রাস্তার দুধারে দাঁড়িয়ে থেকে অপেক্ষা করেও কোনও গাড়ি থেকে বাড়িয়ে দেওয়া খাবার জুটছে না। খাবার পেতে পেতে যে তাদের খাবার খোঁজার প্রবণতাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
রাজ্যে আংশিক লকডাউনের কারণে পাহাড়ে নেই পর্যটকরা। এই পরিস্থিতিতে সেবকের বাঁদরদের মুখে খাবার তুলে দিল সৃষ্টি ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থা।
দীর্ঘদিন পর বাড়িয়ে দেওয়া খাবার পেয়ে কয়েকশো বাঁদর লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে নিজেদের আনন্দ ও কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেছে। খুশি সংস্থার সদস্য়রাও।
প্রসঙ্গত শিলিগুড়ি থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু সেবক। সেই সঙ্গে কালীবাড়ি ও শিবমন্দিরের টানেও অনেকে যান। অনেকে শুধু ডুয়ার্স কিংবা সিকিম, কালিম্পং যাওয়ার পথে দাঁড়িয়ে বাঁদরদের খাবার দেন।
কিন্তু রাজ্যে লকডাউন পরিস্থিতিতে ভ্রমণের উপর কড়াকড়ি থাকায় এই মুহূর্তে দেখা নেই পর্যটকদের। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খাদ্যাভাবে ভুগছে ওখানকার বাঁদরেরা। এই খবর জানতে পেরেই শিলিগুড়ির ওই সংগঠন রবিবার সেবকের করোনেশন সেতু সংলগ্ন এলাকায় থাকা সমস্ত বাঁদরদের খাবার হিসেবে রুটি-কলা ইত্যাদি তুলে দেওয়া হয়।