এক রাতেই মেদিনীপুর সদরে পরপর ৬টি বাড়ি ভাঙল হাতির দল। ব্যাপক ক্ষতি সদ্য রোপন করা ধানের জমিতে।
ফের হাতির তাণ্ডব মেদিনীপুর সদর ব্লকের গুড়গুড়িপালে।
খাবারের খোঁজে ভাঙল ৬ টি বাড়ি। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
জমিতে নেই ফসল। পেট ভরাতে ভরসা লোকালয়ের বাড়ি বাড়ি ঘুরে ধান চালের খোঁজ।
আর লোকালয়ে হাতির প্রবেশ ঘিরে বাড়ি ভাঙার ঘটনাও পিছু ছাড়ছে না স্থানীয়দের।
রবিবার রাত ১২টা নাগাদ ৬টি হাতির একটি পাল চাঁদড়া এলাকার জঙ্গল ছেড়ে প্রবেশ করে এনায়েতপুর গ্রামে।
হানা দেয় ধানের গোডাউনে। একটি বাড়ির দেওয়ালের বেশকিছু অংশ ক্ষতি করে।
সেখান থেকে তাড়া খেয়ে পাশের গ্রাম পলাশিয়াতে প্রবেশ করে চারটি বাড়ি ভাঙে। কোনও রকমে প্রাণে বাঁচেন বাড়ির সদস্যরা।
স্থানীয় বাসিন্দা অরুন দোলই বলেন, "বাড়িতে শুয়েছিলাম, হঠাৎ শব্দ শুনে জেগে ওঠে দেখি পাশের বাড়ি ভাঙছে হাতি।"
তিনি বলেন, "তার কয়েক মিনিট পর আমার বাড়ির ইঁটের দেওয়াল ভেঙে ফেলে। বিছানা ছেড়ে না উঠলে ইঁট চাপা পড়ে যেতাম।"
এদিন দু'টি গ্রাম মিলিয়ে মোট ৬ টি বাড়ি কমবেশি ভাঙার পাশাপাশি ক্ষতি করে ধানের চারা গাছের।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে রাত থেকেই পৌঁছন বন কর্মীরা। হাতিগুলিকে তাড়িয়ে জঙ্গলে ফেরত পাঠালেও আতঙ্ক থাকছে ফের হানার।
সোমবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি পরিদর্শনে যান গুড়গুড়িপাল ফরেস্টের বনকর্মীরা। ক্ষতিপূরণ না পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয়দের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এর আগেও বাড়ি ভেঙেছে, জমির ফসলের ক্ষতি করেছে হাতি।
আজ পর্যন্ত কোনও ক্ষতিপূরণ পাইনি।
এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সরকারী নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে সবাইকে।
হাতির পালকে অন্যত্র সরানোর চেষ্টা চলছে।
এদিকে, এ নিয়ে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
আতঙ্কে রয়েছেন তাঁরা। বার বার একই ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ তাঁদের। যাঁদের ঘরবাড়ি ভেঙে গিয়েছে, তাঁরা কী করে সেগুলি সারাই করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না। রাতে থাকবেন কোথায়, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। অসহায় অবস্থা তাঁদের।