পুজো মিটে গিয়েছে বর্ষাও বিদায় নিয়েছে, কিন্তু বিপর্যয় কাটেনি বাংলায়। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি চলছে।
পুজো মিটে গিয়েছে বর্ষাও বিদায় নিয়েছে, কিন্তু বিপর্যয় কাটেনি বাংলায়। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি চলছে।
আবহাওয়া দফতরের তরফে দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলার জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছিল, এই দুই জেলায় অতিবৃষ্টির কারণে একদিকে যেমন নদীতে জলস্তর বৃদ্ধি হবে, অন্যদিকে বিভিন্ন জায়গায় ধস নামতে পারে। আর বাস্তবে হলও তাই।
প্রবল বৃষ্টির জেরে কালিম্পংয়ে ধস নেমেছে।
করোনার পর এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পাহাড়ে পর্যটন ব্যবসা ক্ষতির মুখে ।
রাস্তাঘাট থেকে নিয়ে যোগাযোগের সমস্ত দিকগুলো বন্ধ।
ধসের কারণে শিলিগুড়ি থেকে সিকিম ও কালিম্পংয়ে যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ কার্যত, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ৷ ধসের কারণে, শিলিগুড়ি-সিকিম ও শিলিগুড়ি-কালিম্পং রুটে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে শিলিগুড়ি পুলিশ জানিয়েছে৷
সোমবার রাত থেকে দার্জিলিং জেলায় প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। প্রবল বৃষ্টি থামার কোনো নাম নেই। প্রশাসনের অবস্থা প্রকৃতির কাছে নিরুপায় ।
পর্যটকরা রাতভর লাভা ও আলগারা রাস্তায় আটকে । গাড়ির ওপর ধস ।
সব মিলিয়ে আবার এক নতুন বিপর্যয় ।
স্থনীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুরের পরে ২৯ মাইলের ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে বড় ধসে নামে৷ যা মেরামত করতে দীর্ঘক্ষণ সময় লাগবে৷ শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ভারী পণ্যবাহী গাড়ি গুলিকে শিলিগুড়ি থেকে ওই দুই রুটে না এগনোর বার্তা দেওয়া হয়েছে৷ ছোট গাড়ি গুলিকে করনেশন ব্রিজ,তিস্তা ও রংপো রুটে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷
ভারী বৃষ্টিতে পাহাড়ের বিভিন্ন রাস্তার উপর দিয়ে জল বইছে৷ দার্জিলিংয়ের গোক থেকে সিঙ্গেল বাজারে যাওয়ার লোহার ব্রিজের ওপর ধস নামায় রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। রিম্বিক, বিজনবারির বিভিন্ন জায়গায় নেমেছে ধস। সুখিয়াপোখরি থেকে মানভঞ্জন যাওয়ার রাস্তাও ধসের ফলে বন্ধ হয়ে গেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। তবে, ক্রমাগত প্রবল বৃষ্টির জন্য ধস সরানোর কাজ ব্যাহত হচ্ছে।