শিলিগুড়িতে মহানন্দা নদীতে লালমোহন মৌলিক ছট ঘাট পরিদর্শন করল শিলিগুড়ি পুর প্রশাসকমণ্ডলী।
ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল -এর নির্দেশ অনুযায়ী কিছু নদীকে নিয়ে কিছু বিধি নিষেধ আছে। তার মধ্যে মহানন্দাও অন্যতম।
কঠোরভাবে গ্রিন ট্রাইবুনালের নিয়ম মেনে, নদীর স্বাভাবিকতা বজায় রেখে ঘাট তৈরি করা হবে।
এমনটাই জানিয়েছেন পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান গৌতম দেব, সদস্য অলক চক্রবর্তীরা।
এদিন সঙ্গে ছিলেন মহানন্দা নদীর দুপাশের ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা। মহানন্দার দুপাশের দুই কাউন্সিলর রামভজন মাহাতো এবং কমল আগরওয়াল এতদিন বামফ্রন্টে ছিলেন।
সদ্যই তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাঁরাও এদিন তাঁদের প্রস্তাব তুলে ধরেন। ছিলেন তৃণমূল নেতা মনোজ ভার্মাও।
এদিন পুর প্রশাসকদের তরফে জানানো হয় আইন বাঁচিয়ে পুণ্যার্থীদের জন্য পাকা ঘাট তৈরি করে দেওয়া হবে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচ দপ্তর এর তরফ থেকে এই মহানন্দা নদীর বেশ কিছুটা পার বাঁধিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বাকি কিছুটা অংশ পুর নিগম কাজ করবে। নিজেদের তহবিল ব্যবহার করা হবে পুরনিগমের তরফে।
পাশাপাশি রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কিছু অর্থ অনুমোদন করে গ্রিন সিটি প্রকল্পের আওতায় নিয়ে এসে এগুলোকে পাকা করে দেওয়া হবে।
ঘাটে নামার দু পাশে সিঁড়ি আছে । আরেকটা সিঁড়ি মাঝ বরাবর করে দেওয়া হবে পুণ্যার্থীদের দাবি অনুযায়ী।
প্রতি বছরই দুর্গাপুজো, কালীপুজো এবং ছটপুজোর সময় সমস্যায় পড়তে হতো। এর আগে পুরনিগমের পক্ষ থেকে পার পাকা করে দেওয়া হয়েছিল।
তারপরও রেলিং দেওয়া নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এরপর কিছুটা অংশ রেলিং ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
তখন পুরবোর্ডে ছিলেন রামভজন মাহাতো, কমল আগরওয়ালরা। এখন তাঁদের পরামর্শে কীভাবে পুর প্রশাসকমণ্ডলী কাজ করেন, কিংবা আদৌ তাঁঁদের পরামর্শ নেন কি না, তা দেখার।
এর মাঝেই স্থানীয়দের তরফে মহানন্দা নদীতে বেআইনিভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন সদ্য তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া জ্যোৎস্না আগরওয়াল ও তাঁর সহযোগীরা।
মহানন্দা নদীর তির দখল করে বেআইনিভাবে হকারদের বসানোর পরিকল্পনা করছে পুরনিগম বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।
তাঁরা নিজেরাও মহানন্দার পারে শীতকালে পৌষমেলা করেন। সে ময়দানও দখল হয়ে যাবে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
তবে জ্যোৎস্নাদেবীর দাবিকে আমল দিচ্ছে না পুরসভা। সরকারি জমিতে আইন মেনেই যে কোনও কাজ হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।