সুস্মিতা দেব। সোমবার খবরের শিরোনামে চলে এসেছেন তিনি। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলে যোগ দান করান। তার আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে বৈঠকও করেন সুস্মিতা।
সুস্মিতা দেব একজন রাজনীতিবিদ। তিনি জাতীয় কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন। অসমের শিলচর কেন্দ্র থেকে ষোড়শ লোকসভায় প্রতিনিধিত্বও করেছিলেন। তাঁর বাবা ছিলেন প্রখ্যাত বাঙালি কংগ্রেস নেতা সন্তোষ মোহন দেব।
মিরান্ডা হাউস থেকে বিএ (অনার্স) ডিগ্রি রয়েছে সুস্মিতার। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বার –অ্যাট –ল, এবং LLB ডিগ্রি অর্জন করেন। ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের লন্ডন এবং কিংস কলেজে ইনস অব কোর্টস স্কুল অফ ল-তেও নিজের নাম নথিভুক্ত করেন।
সুস্মিতা ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে অসমের শিলচর কেন্দ্র থেকে জয়ী হন। প্রায় ৩ দশক ধরে কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। তিনি অসম বিধানসভার সদস্যা নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৪ সাল পর্যন্ত এই পদে ছিলেন।
তবে কেন কংগ্রেস ছাড়লেন সেই বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু জানাননি সুস্মিতা। সূত্রের খবর, তাঁর সঙ্গে দলের দূরত্ব বাড়ছিল। কংগ্রেসে তাঁর মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছিল না। সেই কারণে তিনি দল ত্যাগ করেছেন।
সোমবার সকালেই শোনা যায়, তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন সুস্মিতা। কারণ, তিনি অসমের পরিচিত মুখ ও লড়াকু নেত্রী হিসেবে পরিচিত। অসমে নিজেদের সংগঠন গড়তে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই সুস্মিতাকে নিয়ে এগোতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই জল্পনা সত্যি হয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে নাম লেখান তিনি।
ইতিমধ্যেই সেই রাজ্যের নির্দল বিধায়ক অখিল গগৈকে তৃণমূলে যোগ দেওযার প্রস্তাব দিয়েছে এই রাজ্যের শাসকদল। তবে অখিল গগৈ এই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত জানাননি। এই অবস্থায় সুস্মিতা অসমে তৃণমূলের হাতিয়ার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারেন বলে মত রাজনীতিবিদদের একাংশের।