শিলিগুড়ি পৌরনিগমের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের সরোজিনী কলোনিতে বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিলিগুড়ি পৌরনিগম।
তবে পুরনিগমের এই সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ এলাকাবাসী। সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন এলাকাবাসী। পালটা বিক্ষোভকারীদের হুঁশিয়ারি দিলেন, শিলিগুড়ি পৌরনিগমের প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌতম দেব।
শিলিগুড়ি শহর ও সংলগ্ন এলাকায় মাত্র দুটি বৈদ্যুতিক চুল্লি রয়েছে। একটি কিরণচন্দ্র শশ্মানঘাট ও সাহুডাঙ্গির বৈতরণী শশ্মানঘাট। কিন্তু দিনের পর দিন শহরের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই দুটি শশ্মানঘাটেই মৃতদেহে ভিড় লেগেই থাকেই।
এছাড়াও সম্প্রতি করোনা আবহে মৃতের সংখ্যা বাড়ায় আরও চাপ বেড়ে যায় ওই দুই শ্মশান ঘাটের ওপর। কারণ সাহুডাঙ্গির শ্মশানঘাটে শুধুমাত্র করোনায় সংক্রমিত হয়ে মৃতদেহ দাহ করা হচ্ছে। যার ফলে অন্যান্য মৃতদেহ সব কিরণচন্দ্র শ্মশানঘাটে দাহ করা হচ্ছে।
এতে দেহ দাহ করা নিয়ে ব্যাপক সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে শহরবাসীদের। বিষয়টি নজরে আসতেই শিলিগুড়ি পুরনিগম শহরে বিকল্প একটি বিদ্যুতিক চুল্লি তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়।
সম্প্রতি শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের সরোজিনী কলোনিতে মহানন্দা নদীর পাড়ে প্রায় আড়াই একর জমি চিহ্নিত করা হয় শ্মশান নির্মাণের জন্য। কিন্তু বেঁকে বসে এলাকাবাসী।
শ্মশানঘাট নির্মাণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামে এলাকাবাসী। কোনওভাবেই ওই এলাকায় শ্মশানঘাট নির্মাণ করতে দেওয়া যাবে না বলে দাবি করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ভক্তিনগর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। তাঁরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ করে বলেন, এলাকাযর উন্নয়নের অনেক কাজ বাকি রয়েছে। সেগুলো করা হচ্ছে না। সেগুলো শেষ না করে শ্মশান ঘাট কোনও ভাবেই নির্মাণ করতে দেওয়া যাবে না। এতে সাধারণ মানুষকে সমস্যা মুখে পড়তে হবে।"
অন্যদিকে পাল্টা বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিলিগুড়ি পৌরনিগমের প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌতম দেব।
তিনি বলেন, "বহিরাগতদের দিয়ে সেখানে বিক্ষোভ করে অশান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমি সতর্ক করে বলে দিচ্ছি, যারা মহানন্দা থেকে বালি-পাথর চুরি করছে এবং মহানন্দার পারে অবৈধ নির্মাণ করছে তাদের কোনও ভাবেই রেয়াত করা হবে না।
সমস্ত বেআইনি নির্মাণ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। কোমরে দড়ি দিয়ে জেলে ঢোকানো হবে। সাধারণ মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে ওই কাজ করা হচ্ছে। সরকারি কাজে কোনওভাবেই বাধা দেওয়া যাবে না।"