রাস্তা থেকে উদ্ধার হওয়া দু'টি অসুস্থ চিলকে বাড়িতে রেখে সারিয়ে তুললেন পাখিপ্রেমী এক শিক্ষক। শনিবার তাদের ছেড়ে দিয়েছেন। উড়ে গিয়েছে আকাশে। আর ছড়িয়ে দিয়েছে খুশির আলো। এ কাজে বন দফতর সাহায্য করেছে।
গত ২০ ও ২২ মে বীরভূমের সিউড়ির ডাঙালপাড়া ও সবুজ পল্লী থেকে দু'টি খুবই অসুস্থ চিল উদ্ধার করেন ওই শিক্ষক। প্রায় ১০ দিনের পরিচর্যা করেন তিনি। তারা সেরে ওঠে। পরম যত্নে সারিয়ে তোলেন। তিনি জানান, অসুস্থ হলেও তাদের গায়ে কোনও আঘাত ছিল না।
এদিন সকাল ১১টা নাগাদ চিল দু'টিকে অনুকূল পরিবেশে পুনর্বাসন দেওয়া হয়। এ কাজে বন দফতরের সহযোগিতা পেয়েছেন তিনি।
ওই শিক্ষকের নাম দীনবন্ধু বিশ্বাস। তিনি অজয়পুর হাইস্কুলের শিক্ষক ও জাতীয় বন্যপ্রাণ অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর সদস্য। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এ রকম কাজ করে আসছেন। বন্যপ্রাণ সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা আরও বাড়িয়ে তুলছেন।
দীনবন্ধু বিশ্বাস বলেন, ২০মে রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ সিউড়ির ডাঙালপাড়ার হোটেল সাগর থেকে এই মারাত্মক অসুস্থ চিলটি উদ্ধার করি। রাতে ওকে ওআরএস দিয়েছিলাম। পরের ছোট মাছ খেতে দেওয়া হয়। তা খেতে পারছিল পাখিটি। তিনি বলেন, সম্পূর্ণ সুস্থ হলে ওকে বন দফতরের সহযোগিতায় অনুকূল পরিবেশে পুনর্বাসন দেওয়া হবে বলে ঠিক করে রেখেছিলাম।
তবে কে জানত তাঁর কাজ আরও বেড়ে যাবে! কারণ দিন দুয়েক পর তিনি আরও একটি চিল উদ্ধার করেন। আর লেগে পড়েন সেটিকে সারিয়ে তুলতে। তিনি বলেন, ২২মে, দুপুরে ১টা নাগাদ সিউড়ির সুভাষপল্লী থেকে অসুস্থ আর একটি চিল উদ্ধার করি।
তিনি আরও বলেন, ঠিক একই ভাবে গত ২০ মে একটি অসুস্থ চিল উদ্ধার করেছিলাম। কোনও চিলের গায়ে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। কী কারণে অসুস্থ বুঝতে পারছি না। বাড়িতে আনার পর ওআরএস এবং ছোট মাছ খেতে দেওয়া হয়েছিল। সম্পূর্ণ সুস্থ হলে বন দফতরের সহযোগিতায় চিল দুটিকে পুনর্বাসন দেওয়া হবে। এদিন সে কাজ সেরে ফেললেন। বিদায় নিল তাঁর দুই অতিথি।