লুক মন্টাগনিয়ার ফ্রান্সের এই বিজ্ঞানী সম্প্রতি দাবি করেছেন, করোনার ভ্যাকসিন নিলে এই মারণ ভাইরাস আরও ক্ষতিকারক চেহারা নেবে। ভ্যাকসিন নেওয়ার ফলে তা থেকে তৈরি অ্যান্টিবড়ি শরীরে নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টের জন্ম দেবে। তবে লুকের এই বক্তব্য মানতে নারাজ ভারতীয় বিজ্ঞানীরা।
যেমন ভারতের প্রসিদ্ধ বিজ্ঞানী গগনদীপ কাঙ্গের মতে, দেশ থেকে করোনা নির্মূলের একমাত্র পন্থা হল ভ্যাকসিনেসন বেশি বেশি করে করা। তাঁর মতে, লুক কখনও বলতে চাননি ভ্যাকসিন নেওয়ার ২ বছরের মধ্যেই মানুষ মারা যাবে।
গগনদীপ কাঙ্গের কথায়, লুক বলতে চেয়েছেন ভ্যাকসিন নেওয়ায়র পর ADE-র কারণে করোনার ভ্যারিয়ান্ট মানুষের শরীরে আরও শক্তিশালী হবে। কিন্তু, তিনি নিজে (কাঙ্গ) এতে বিশ্বাস করেন না।
কাঙ্গ জানান, আমরা যখন সংক্রমিত হই বা ভ্যাকসিন নিই তখন আমাদের শরীরে অ্যান্টিবডি গড়ে ওঠে। এতে শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। তখন সংক্রমণের আশঙ্কা কমে যায়।
গগনদীপ কাঙ্গের কথায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাইরাসকে শরীর থেকে সঙ্গে সঙ্গে মুক্ত করতে পারে না। বরং, বলা ভাইরাসকে চেনাতে সাহায্য করে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁদের শরীরে ভাইরাস অনেকদিন পর্যয়ন্ত থেকে যায়।
ওই বিজ্ঞানী জানান, ভ্যাকসিনেশন বাড়ালে তবেই করোনার প্রতিরোধ সম্ভব। কারণ, এটাই মানুষের শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে।
প্রসঙ্গত, ওই ফরাসি বিজ্ঞানীর পোস্ট ভাইরাল হওয়ার পর এই নিয়ে ট্যুইট করে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো বা পিআইবি। এটা যে অপপ্রচার তাও .উল্লেখ করে পিআইবি।
তারপরই ভারতের একদল বিজ্ঞানী ভ্যাকসিনেশনের পক্ষে জোরদার সওয়াল করেন। জানান, করোনা টিকাগুলি সম্পূর্ণ ভাবে নিরাপদ, এবং এতে কোনোরকম মৃত্যু ভয় নেই।