আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল, কালীপুজোর আগেই ঠাণ্ডা ভাব অনুভুত হবে। হয়েওছে তাই। তবে এও জানানো হয়েছিল মাঝ নভেম্বরের আগে জাঁকিয়ে ঠাণ্ডা অনুভূত হবে না। সেটাও হচ্ছে পূর্বাভাস মেনেই। সেই পথেই এগোচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া। দক্ষিণবঙ্গে শীতের ঠাণ্ডা হাওয়া প্রবেশের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত।
শুক্রবার দিন শুরু হয়েছে মেঘলা আকাশ দিয়ে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। অন্যদিকে সর্বনিন্ম তাপমাত্রা থাকবে ৩১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি।
নভেম্বরের শুরুতে যে হারে পারদ নেমেছিল কলকাতায়, সে তুলনায় শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। বৃহস্পতিবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়েছিল ২১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন তার থেকে কিছুটা বেড়েছে তাপমাত্রা। এর আগে বুধবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুক্রবার বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৮৯ শতাংশ। আকাশে হাল্কা মেঘের উপস্থিতি থাকলেও এদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৪২ শতাংশ। তাই শহর কলকাতায় শুক্রবার বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। গত ২৪ ঘণ্টায় শহরে কোথাও বৃষ্টিপাত হয়নি।
তাপমাত্রার পারদ সামান্য বাড়লেও ভোর ও রাতের দিকে ঠান্ডার হাল্কা আমেজ এদিনও বহাল।
দক্ষিণ পূর্ব উত্তর প্রদেশ এবং সন্নিহিত অঞ্চলের ওপরে ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। ফলে পশ্চিম দিক থেকে আসা ঠাণ্ডা বাতাস বাধা পাচ্ছে। সেই কারণেই তাপমাত্রার বৃদ্ধি বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতরের দেওয়া পূর্বাভাস আনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘন্টায় উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। কোথাও বৃষ্টির কোনও রকম সম্ভাবনা নেই। হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গে আপাতত রাতের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না।
একইভাবে দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পরবর্তী ৪৮ ঘন্টায় সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে আপাতত রাতের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না।