কালীপুজোর সকালে শীত শীত ভাব কিছুটা ফিরেছিল কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায়। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ফের কুড়ি ডিগ্রির নীচে নেমেছিল। শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা একেবারে স্বাভাবিক। তবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি।
তবে রবিবার সকালে ফের কিছুটা চড়ল তাপমাত্রার পারদ। এদিন শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়া। স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতায় বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বাধিক ৮৭ শতাংশ, ন্য়ূনতম ৩৯ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় শহরে বৃষ্টি হয়নি।
রবিবার সর্যোদয় হয়েছে সকাল ৫ টা বেজে ৪৯ মিনিটে। সর্যাস্ত হবে বিকেল ৪টে বেজে ৫২ মিনিটে। আকাশ সারাদিন রৌদ্রজ্জ্বল ও পরিস্কার থাকবে বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।
তাপমাত্রার পারদ সামান্য বাড়লেও ভোরের দিকে ঠান্ডার হাল্কা আমেজ এদিনও বহাল। কলকাতার পাশাপাশি জেলাগুলিও শীতের আমেজ গায়ে মেখেছে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, কলকাতা, হাওড়়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায় শুষ্ক আবহাওয়াই বজায় থাকবে।
দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জেলা দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দুই দিনাজপুর, মালদহতেও শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে।
আগামী দু থেকে তিন দিন রাজ্যের সমস্ত জেলায় রাতের তাপমাত্রা সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না বলে জানানো হয়েছে।
গত মঙ্গলবার থেকে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গে। এর মূল কারণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত একটি ঘূর্ণাবর্ত। তার প্রভাবে বৃষ্টি হয়নি ঠিকই, কিন্তু সেই ঘূর্ণাবর্ত দক্ষিণবঙ্গের বায়ুমণ্ডলে একরাশ মেঘ ঢুকিয়ে উত্তুরে হাওয়াকে আটকে দেয়। এর ফলে ক্রমশ বাড়তে থাকে তাপমাত্রার পারদ।
ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব কেটে যাওয়ার পর এখন উত্তর ভারতে এসে পড়েছে একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। এর ফলে জোরালো উত্তুরে হাওয়া এখনই ঢুকবে না দক্ষিণবঙ্গে। তাই আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা ১৯-২০ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করলেও তাপমাত্রা আর বেশি নামবে না।