Advertisement

Madhyamik Examination 2022 : মাধ্যমিক পরীক্ষা খারাপ, দুঃখে সুইসাইড ছাত্রীর

Madhyamik Examination 2022: মাধ্যমিক পরীক্ষা খারাপ হওয়ার কারণে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করল এক পরীক্ষার্থী। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের পাইকর থানা এলাকার উত্তর রামচন্দ্রপুর গ্রামে। নাম মহিমা খাতুন বয়স (১৭)। 

বীরভূমে আত্মঘাতী এক ছাত্রী (প্রতীকী ছবি)
ভাস্কর মুখোপাধ্যায়
  • পাইকর,
  • 08 Mar 2022,
  • अपडेटेड 2:37 PM IST
  • মাধ্যমিক পরীক্ষা খারাপ হওয়ার কারণে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করল এক পরীক্ষার্থী
  • ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের পাইকর থানা এলাকার উত্তর রামচন্দ্রপুর গ্রামে।
  • নাম মহিমা খাতুন বয়স (১৭)

Madhyamik Examination 2022: জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। সেই মাধ্যমিক পরীক্ষা খারাপ হয়েছিল বলে মনে হয়েছিল এক ছাত্রীর। সেই ধাক্কা সামলাতে পারেনি। সে কারণে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করল এক পরীক্ষার্থী।

ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের পাইকর থানা এলাকার উত্তর রামচন্দ্রপুর গ্রামে। ওই ছাত্রীর নাম মহিমা খাতুন বয়স (১৭)। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়।

ভেঙে পড়েছিল মেয়ে
তাঁর বাবা জানান, সোমবার মেয়ের বাংলা পরীক্ষা খারাপ হওয়ার কারণে বাড়ি ফিরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। আর তারপরেই ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে যায় পাইকর থানার পুলিশ যায়।

এবং মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। উল্লেখ্য, সোমবার থেকে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। সেদিন ছিল বাংলা পরীক্ষা। সেই পরীক্ষা খারাপ হয়েছিল বলে মনে হয়েছিল তাঁর। আর তাই এই সিদ্ধান্ত।

আরও পড়ুন: মেটারনিটি লিভ কলেজ ছাত্রীদের জন্যও, সিদ্ধান্ত ইউজিসি-র

আরও পড়ুন: ভুল মানল সিবিএসই, দশম শ্রেণিতে বিতর্কিত প্রশ্নটিতে দেওয়া হবে ফুল মার্কস

পরিবার জানাচ্ছে
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছ, মহিমা খাতুন ছিল চাপা স্বভাবের। পরীক্ষার জন্য ও প্রস্তুতি নিয়ে ছিল। সোমবার পরীক্ষা দিয়ে আসার পর ওর মান খারাপ ছিল। মহিমার কাকা জাফর শেখ বলেন, বাড়িতে ফেরার পর আত্মহত্যা করবে আমরা বুঝতে পারিনি। 

ওই ছাত্রীর পরিবারের এক সদস্য আসাদুর শেখ। তিনি বলেন, মনের মধ্যে কিছু একটা হয়েছিল যে পরীক্ষা ভাল হয়নি বা পরীক্ষা ভাল দিতে পারেনি। পরীক্ষা দিয়ে আসার পর মনে হয়েছিল, তা ঠিকঠাক হয়নি। সারা বছর মা-বাবা পড়িয়েছেন। তারপরও পরীক্ষা ভাল হয়নি, সেই দুঃখেই এই কাজ করেছে।

Advertisement

তার পরীক্ষার সিট পড়েছিল নয়াগ্রামের হাড়োয়া হাইস্কুলে। পরিবারের আক্ষেপ, তাঁরা যদি বুঝতে পারতেন মেয়ে এমন কিছু করতে যাচ্ছে, তা হলে এমন হত না। তাঁরা কিছুই বুঝতে পারেননি। তা হলে মেয়েকে বোঝাতেন। তার পাশে থাকতেন। এই ঘটনা আটকে দেওয়া যেত। কিন্তু মেয়ে সেই সুযোগ তাঁদের দিল না।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement