রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) তৈরি রিপোর্টে দেওয়া বলা হয়েছে তেহরিক-এ-তালিবান পাকিস্তান (TTP) জানিয়েছে এখনও তাদের কাছে আফগানিস্তান সীমান্তে ৬০০০ প্রশিক্ষিত বাহিনী রয়েছে। ইউএন এনালিটিক্যাল সাপোর্ট অ্যান্ড সেকশন মনিটরিং টিমের তৈরি ২৪ পাতার রিপোর্টে বলা হয়েছে আফগানিস্তান-চিন সীমান্তে প্রায় কয়েক হাজার বেজিং বিরোধী চরমপন্থীরা জড়ো হয়েছে। পাকিস্তানের অভিযোগ, আফগানিস্তান তাদের ওপর TTP-র সদস্যদের দিয়েই করে। (ছবি সূত্র- গেটি)
পাক সংবাদপত্র ডনের রিপোর্ট অনুসারে, নিরাপত্তা পরিষদের একটি দল এই সপ্তাহেই UNSC রিপোর্ট জমা করে। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে সংন্ত্রাসবাদীদের কার্যকলাপের তথ্য সংগ্রহ করে এই গোষ্ঠীটি। (ছবি সূত্র- গেটি)
রিপোর্টের একটি অধ্যায়ে বলা হয়েছে, তালিবানদের সঙ্গে বিদেশী আতঙ্কবাদীদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগযোগ রয়েছে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, তালিবানরা ISI ও TTP-র সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছে। সেই সঙ্গে তাদের তৈরি করে দেওয়া প্যানের ওপর ভিত্তি করেই কাজ করে চলেছে। (ছবি সূত্র- গেটি)
রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে বলা হয়েছে বেজিং বিরোধী তালিবান শক্তি আফগানিস্তান-চিন সীমান্তে জড় হয়েছে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে তালিবান ও পাকিস্তান তালিবান গোষ্ঠীর মধ্যে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার সংঘর্ষ হয়েছে। তালিবানরা সেখানে থাকা অন্য চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলির ওপরও চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে বলে সেখানে উল্লেখ করেছে। (ছবি সূত্র- গেটি)
রিপোর্টে বলা হয়েছে TTP দীর্ঘদিন ধরে নঙ্গরহার এলাকায় স্থিতু রয়েছে। ডিসেম্বর ২০১৯ থেকে অগাস্ট ২০২০ মধ্যে TTP সহ অন্য সংন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর আফগানিস্তানে আসার কথা লেখা আছে। এর মধ্যে জামাত-উল-অহরার, হিজ্জ-উল-অহরার, আমজাদ ফারুকি সহ অন্যান্য আরও নাম সামনে উঠে আসছে। (ছবি সূত্র- গেটি)
সেখানে আরও বলা হয়েছে, আলাদা আলাদা ভাগে এই জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এসে জমা হওয়ার ফলে সেখানে TTP-র শক্তি আরও বেড়ে গেছে গত কয়েক বছরে। বর্তমানে TTP-র দুটি সংগঠনে প্রায় আড়াই হাজার থেকে ৬ হাজারের মতো অস্ত্র প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসবাদী রয়েছে। ২০১৮ থেকে এই সংগঠনের নেতৃত্ব নুর বলি মাসুদের হাতে রয়েছে। (ছবি সূত্র- গেটি)
রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে বলা হয়েছে, TTP পাকিস্তান বিরোধী হলেও, আফগানিস্তানে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আফগান তালিবানদের সমর্থন করে। (ছবি সূত্র- গেটি)
এর আগে একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নুর বলি মাসুদ জানিয়েছিল, তাদের সঙ্গে অলকায়দার সঙ্গে তাদের কোনও সম্বন্ধ নেই। তার কথায়, আমরা শুধুমাত্র পাকিস্তানেই লড়াই করছি। পাক সীমান্তে তারা নিজেদের শক্তি বাড়াতে চায় বলেও সেই সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেছিল মাসুদ। (ছবি সূত্র- গেটি)
আফগান তালিবানদের সঙ্গে সম্বন্ধ রাখার ব্যাপারে মাসুদকে বলে, আফগান তালিবানদের জয় সমস্ত মুসলমান প্রজাতির জয়। আমাদের সম্বন্ধ ভাইচারার। (ছবি সূত্র- গেটি)