প্রেমিকাকে নৃশংস ভাবে হত্যা করল প্রেমিক। ছুরি দিয়ে খুনের পর প্রেমিকার শরীরে চিহ্নও ছেড়ে যায় হত্যাকারী। প্রেমিকার মৃতদেহে একটি বাক্য লিখে দেয় সে। (সমস্ত ছবি সূত্র-গ্রেটার ম্যানচেস্টার পুলিশ)
ব্রিটেনের বাসিন্দা ইমোজেন বোহাজুককে গ্রেটার ম্যানচেস্টারের ওল্ডেমে তাঁর ফ্ল্যাটেই মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। মৃতার শরীরে ছুরির বেশকয়েকটি আঘাত দেখতে পায় পুলিশ। বিছানায় পড়েছিল তাঁর দেহ। পাশে সাজান ছিল তাঁর পছন্দের সুগন্ধী ও সফট টয়।
তদন্তে নেমে ইমোজেনের প্রেমিক ড্যানিয়াল স্মিথকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে বিগত কিছুদিন ধরে সে ইমোজেনের ব্যাঙ্কের কার্ড ব্যবহার করছিল। অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করার ২ সপ্তাহ আগেই সে ইমোজেনকে হত্যা করে।
হত্যার অপরাধে স্মিথকে কমপক্ষে ১৭ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় ম্যানচেস্টার ক্রাউন আদালত। পুলিশি তদন্ত ও আদাতের শুনানির সময় জানা যায়, কী ভাবে নিজের প্রেমিকাকে হত্যা করেছিল স্মিথ।
জানা গিয়েছে প্রায়শই দুজনের মধ্যে ঝগড়া হত। স্মিথের খারাপ ও হিংসাত্মক আচরণের বিষয়ে নিজের বন্ধুদেরও কয়েকবার জানিয়েছিলেন ইমোজেন। কিন্তু মার্চ মাসে টাকাপয়সার লেনদেন নিয়ে যুগলের মধ্যে ঝগড়া হয়। সেই অশান্তিই ধীরে ধীরে ইমোজেনের মৃত্যুর কারণ হয়ে ওঠে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, ইমোজেনের মুখ, চোয়াল, মাথার খুলি এবং ঘাড়ে আঘাত করা হয়েছিল। এমনকী শ্বাসরোধের চিহ্নও উঠে আসে রিপোর্টে।
আদালতে আইনজীবী জানান, প্রথমে ইমোজেনকে মারধর করে স্মিথ। তারপর তাঁর গলাটিপে শ্বাসরোধ করে। সবশেষে ছুরি নিয়ে হামলা চালায়। তাঁর শরীরে বেশ কয়েকবার ছুরি চালায় স্মিথ।
কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় ইমোজেনের। এরপর নেলপলিশ দিয়ে মৃতদেহে স্মিথ লেখে 'সেটা আমি ছিলাম'। অর্থাৎ স্মিথ এটাই বোঝাতে চেয়েছিল যে সেই খুন করেছে। তারপর মৃতদেহটিকে বিছানায় শুইয়ে তার ওপরে অদ্ভূত একটি নকশা তৈরি করে দেয় স্মিথ।