Pakistani Donkey: পাকিস্তান খাদ্যশস্য উৎপাদনে পিছিয়ে পড়লেও গত তিন বছরে এই দেশে গাধার সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। আর পাকিস্তানে গাধার সংখ্যা বৃদ্ধির পেছনে রয়েছে চিনা চাহিদা।
২০২২-২৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সমীক্ষা (PES) অনুযায়ী, দেশে গাধার সংখ্যা আগের বছরের ৫৭ লক্ষ থেকে বেড়ে ৫৮ লক্ষ হয়েছে।
২০১৯-২০২০ সালে, পাকিস্তানে ৫৫ লক্ষ গাধা ছিল। ২০২০-২০২১ সালের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী পাকিস্তানে ৫৬ লক্ষ গাধা ছিল।
গাধার সংখ্যার বিচারে পাকিস্তান বিশ্বের তৃতীয় স্থানে রয়েছে, যেখানে চিন এই তালিকার এক নম্বরে রয়েছে। সে দেশে প্রচুর চাহিদা থাকায় চিন গাধা আমদানির জন্য পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল।
চিনে গাধার চামড়ার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য অংশে গাধার উল্লেখযোগ্য মূল্য বা চাহিদা না থাকলেও চিনে এই প্রাণীটিকে ‘মূল্যবান সম্পদ’ হিসেবে গণ্য করা হয়।
চিনে যে পরিমাণ গাধা জন্মায় তা সে দেশের বাজারের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে অন্যান্য দেশ যেমন আফ্রিকা এবং পাকিস্তান থেকে গাধা আমদানি করতে হচ্ছে চিনকে।
ডনের ২০২২ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থানীয় চাহিদার বৃদ্ধি এবং দেশে উৎপাদন হ্রাসের কারণে চিন অন্যান্য দেশ থেকে গাধা এবং কুকুরের আমদানি করছে।
পাকিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রক এবং কেন্দ্রীয় কমিটির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য, দিনেশ কুমার বলেছিলেন যে চিন পাকিস্তান থেকে গাধার পাশাপাশি কুকুর আমদানিতেও আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
গাধার থেকে চিনে অসংখ্য ওষুধ তৈরি হয় যা রক্তাল্পতা, প্রজননের সমস্যা এবং অনিদ্রার চিকিৎসায় প্রচলিত চিনা টোটকা হিসাবে কাজে লাগে। এছাড়াও, গাধার চামড়ারও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে সে দেশে।