দিন কয়েক আগেকার দৃশ্য। যা কাঁপিয়ে তুলেছিল সারা দুনিয়াকে। বিমান থেকে ঝুলছে দু'জন। আর একটু পরেই তারা পড়ে যাবে। নিজের দেশ ছাড়তে বাধ্য তারা। কারণ দেশ চলে গিয়েছে তালিবানদের হাতে। তাদের স্বাধীনতা বলতে কিছু থাকবে না। তাই তো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝুলে পড়েছিলেন চলন্ত বিমানে।
মর্মান্তিক পরিণতি
তবে তাদের আশা পূরণ হয়নি। তারা সম্পর্কে দুই ভাই। বিমান থেকে পড়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। তবে তারা একটা প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। যা এখন অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। তালিবান শাসনে মানুষের স্বাধীনতা বলে কি আছে কিছু? তালিবান যতই নিজেদের ভাবমূর্তি বদলানোর চেষ্টা করুক, বিবৃতি দিক, তাদের কাজকারবার কিন্তু একেবারে উল্টো।
মানুষকে জোর করে মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। তেমনই মহিলাদের ওপরও বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। তারা আগাম বুঝেছিল। তাই দেশ ছেড়ে পালানোর জন্য এতটা মরিয়া চেষ্টা।
বিমানের চাকায় ঝোলা
মার্কিন সেনা বিমান থেকে পড়ে মারা গিয়েছে তারা। আরও একজনের মৃত্যু হয়েছিল। কাবুল বিমানবন্দরের তারা বিমানে ঝুলে পড়েছিল। আর বিমান ছাড়তেই বিপর্যয়। একটি বিন্দুর মতো বিমান থেকে পড়ে যান। সেই দৃশ্য ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল। আর তা ভাইরাল হয়ে যায়।
পরিবারের বক্তব্য
তাদের পরিবারের সদস্যরা জানান, কাউকে কিছু না বলেই তারা বাড়ি ছেড়েছিল। নিজেদের পরিচয়পত্র নিয়ে বিমানবন্দরে গিয়েছিল। ওই পরিবারের এক সদস্য় জানান, তালিবানরা মানুষ মারছে। তাদের কাজ ছিল না। তাই তারা দেশ ছাড়তে চেয়েছিল। বিদেশে যেতে চাইছিল।
প্রকাশ্যে গনি
দেশ ছেড়ে পালানোর পর প্রকাশ্যে এলেন আশরফ গনি। তিনি একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। কেন দেশ ছেড়েছিলেন, তার কারণ ব্য়াখ্যা করেছেন। তিনি দেশের মানুষের কাছে বার্তা দিয়েছেন। টাকাপয়সা নিয়ে পালালনি তিনি।
কী বললেন গনি
রবিবার আফগানিস্তান চলে গিয়েছে তালিবানদের হাতে। জানা গিয়েছিল, আশরফ গনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। তিনি কোথায় গিয়েছেন, সে ব্য়াপারে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে বার্তা দিয়েছেন।
তবে সেই জল্পনার অবসান হল এদিন। আশরাফ গনি জানিয়েছেন, তিনি দেশ না ছাড়লে তাঁকে খুন করে দেওয়া হত। তালিবানদের দখলের পর তিনি কাবুলে থাকলে তাঁকে মেরে ফেলা হত। তিনি প্রচুর অর্থ নিয়ে দেশ ছেড়েছেন বলে যা বলা হচ্ছে, তা একেবারেই ভুল।