দেশজুড়ে চলছে প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচন। আর টলিপাড়ায় তখন বাজতে চলেছে বিয়ের সানাই। ১৯ এপ্রিল দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র। দীর্ঘদিনের লিভ-ইন পার্টনার রাতুল মুখোপাধ্যায়ের গলায় ১৯ এপ্রিলের সন্ধ্যায় মালা দেবেন রূপাঞ্জনা। তবে এর আগেও অভিনেত্রী বিয়ে করেছিলেন ভিনধর্মে। কিন্তু সেই বিয়ে টেকেনি।
রূপাঞ্জনা খুব অল্প বয়সেই বিয়ে করেছিলেন। আর সেই বিয়েতে পরিবারের কারোর মত ছিল না। মাত্র ২৩ বছর বয়সে আচমকাই বিয়ে করেন রূপাঞ্জনা। ২০০৭ সালে অভিনেত্রী বিয়ে করেছিলেন রেজাউল হককে। বিয়ের পর যদিও তিনি তাঁর নাম-পদবী কিছুই বদলাননি। এই বিয়েতে কারোর মত ছিল না। কিন্তু রূপাঞ্জনার জেদেই এই বিয়ে হয়। বিয়ের পর রেজাউল ও রূপাঞ্জনার সাংসারিক জীবন ভালই কাটছিল। সেই সময় এক সংবাদমাধ্যমকে রূপাঞ্জনা জানিয়েছিলেন যে তাঁর স্বামী অভিনেত্রীর শক্তির উৎস।
রূপাঞ্জনা অর্ন্তঃসত্ত্বা থাকাকালিনই তাঁর ও স্বামী রেজাউলের মধ্যে দুরত্বের সৃষ্টি হয়। ২০১৭ সালে তাঁদের ছেলে রিয়ানের জন্ম হয়। কিন্তু সেই বছরই রূপাঞ্জনার সঙ্গে তাঁর স্বামীর বিচ্ছেদ হয়। এরপর একাই ছেলেকে মানুষ করেছেন অভিনেত্রী। খুব কম বয়স থেকেই একা লড়াই করেছেন নায়িকা। আর সেই সময়েই পাশে পেয়েছিলেন রাতুলকে। ছোট্ট রিয়ানের বয়স তখন ৪ বছর। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে তাঁরা একে অপরের সহায় হয়ে ওঠার চেষ্টা করে এসেছেন।
রাতুল তাঁর থেকে ছয়-সাত বছরের ছোট। যদিও বয়স কখনওই তাঁদের সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। ৬ বছর ধরে সম্পর্কে আছেন তাঁরা। লিভ-ইনও করেন। গত বছর পাহাড়েই আংটি বদল করেছেন রূপাঞ্জনা ও রাতুল। এই বাগদানের একমাত্র সাক্ষী ছিলেন রূপাঞ্জনার ছেলে রিয়ান। তারপর থেকেই তাঁদের বিয়ে নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছিল। অবশেষে সেই শুভদিনটা চলে আসে। ১৯ এপ্রিল বিয়ে করছেন রূপাঞ্জনা ও রাতুল।
একেবারে ঘরোয়াভাবেই বিয়ে সারতে চান এই জুটি। রাজারহাটে একটি হোটেল ভাড়া করে এই বিয়ে করছেন রূপাঞ্জনা। পরিবার ও কাছের বন্ধুদের নিয়ে সামাজিকভাবে বিয়েটা সেরে নেবেন। ইতিমধ্যেই শেষ আইবুড়ো ভাত খেয়েছেন রূপাঞ্জনা ও রাতুল। হাতে শাখা-পলাও পরেছেন। এবার শুধু নববধূর বেশে দেখার পালা রূপাঞ্জনাকে।