টলিউড বা টেলিভিশনের নায়ক-নায়িকাদের হাঁড়ির খবর জানার জন্য উৎসুক হয়ে থাকেন তাঁদের ভক্ত-অনুগামীরা। আর তাঁদের নিরাশ করেন না তারকারা। নিজেদের পেশাগত জীবনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনের টুকরো টুকরো কিছু ছবিও তুলে ধরেন তাঁরা। সেরকমই এক জনপ্রিয় টেলিভিশন অভিনেত্রী নিজের ছোটবেলার ছবি পোস্ট করলেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। আর তা দেখে ভক্ত-অনুগামীরা সেই নায়িকাকে ভালোবাসায় ভরালেন।
সেই নায়িকা যে ছবি পোস্ট করেছেন সেখানে দেখা গিয়েছে, খালি গা, গলায় সোনার হার, ছোট চুল, কপালে চিপ ও চন্দন, সবে দাঁত উঠেছে সেই শিশুর। সেই অবস্থাতেই মিষ্টি হাসি দিয়েছে ওই নায়িকা। আর এই ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা, 'একে আমি পেলে চটকে খেয়েই ফেলতাম।' যদিও এই ছবিটা যে কার, তা সকলেই বুঝতে পেরেছেন। এটা রাঙা বউ খ্যাত শ্রুতি দাসের। যিনি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছেন। শ্রুতি তাঁর নিজের ছোটবেলার ছবি পোস্ট করেছেন সোশ্যালে। আর এই ছবি পোস্ট হতেই ভক্তদের কমেন্ট ও ভালোবাসায় ভরে গিয়েছে।
শ্রুতি দাস এখন টলিউডের অতি চেনা মুখ। তিনি ছোট পর্দার পর সদ্যই পা রেখেছেন বড় পর্দায়। এতদিন সকলে তাঁকে 'রাঙা বউ' বলেই চিনত। এবার ছোটপর্দার গণ্ডি পেরিয়ে তিনি টলিউডেও পা রাখছেন। শিবপ্রসাদ-নন্দিতার আগামী ছবি আমার বস-এ দেখা যাবে শ্রুতিকে। তিনি কাজ করেছেন রাখী গুলজারের মতো অভিনেত্রীর সঙ্গে। এমনিতে শ্রুতি ঠোঁটকাটা বলেই পরিচিত। রাঙা বউ ওরফে শ্রুতি দাস সোশ্যাল মিডিয়ায় ভীষণই অ্যাকটিভ। নিজের কাজের কথা হোক বা ব্যক্তিগত জীবনের টুকিটাকি আপডেট বা কোনও তথ্য তিনি হামেশাই ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নেন।
কয়েক বছর আগেই শ্রুতিকে তাঁর গায়ের রঙের জন্য ট্রোল হতে হয়েছিল। তবে সেই ট্রোলের মোক্ষম জবাবও তিনি দিয়েছিলেন। গত বছরই পরিচালক স্বণেন্দু সমাদ্দারের সঙ্গে আইনি বিয়ে সারেন শ্রুতি। সামাজিক বিয়ে করার ইচ্ছে আছে অভিনেত্রীর। সেটা এই বছরের শেষে হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন শ্রুতি। তবে পরিচালক স্বামী স্বর্ণেন্দুর সঙ্গে ভীষণ ভাল আছেন তিনি, তা তাঁর একাধিক পোস্ট থেকেই বোঝা যায়।
শ্রুতি দাসকে শেষবার জনপ্রিয় ধারাবাহিক রাঙা বউতে দেখা গিয়েছিল। কয়েক মাস আগেই শেষ হয়েছে সেই মেগার পথচলা। এছাড়াও দেশের মাটি, ত্রিনয়নী সিরিয়ালে কাজ করে পরিচিতি পান অভিনেত্রী। তবে এবার বড়পর্দায় নিজের ডেবিউ করবেন শ্রুতি। শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায় পরিচালিত আমার বস ছবিতে তিনি কাজ করেছেন। এই ছবির শ্যুটিং শেষ হয়েছে কিছুদিন আগেই।