ট্র্যাকে চলতে চলতে হঠাৎই বেলাইন হয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস মিলছে খড়কুটো ধারাবাহিকের। বাংলা ধারাবাহিকের মধ্যে এ মুহূর্তে অন্যতম পছন্দের ধারাবাহিক খড়কুটো। মুখোপাধ্যায় পরিবার, সকলের প্রিয় পুটু পিসি, পটকাদের গ্রুপ এবং সৌজন্য ও গুনগুনের রসায়ণে মজে ওঠা বাঙালি দর্শকরা খানিকটা যে বিরক্ত ধারাবাহিকের গতিপ্রকৃতি নিয়ে, তা সাম্প্রতিক সোশাল পোস্ট বলে দিচ্ছে। নেট মাধ্যমে অনেকেই প্রশ্ন করছেন, গুনগুনের এই 'ন্যাকামোর' শেষ কোথায়?
দর্শকদের একাংশ মনে করছেন, যাঁরা ধারাবাহিকটি লিখেছেন, যাঁরা সংলাপ লিখছেন তাঁরা সম্ভবত দর্শকদের নেহাতই শিশু ভাবছেন। অনেকটা গুনগুনের মতো। রাজা দাস নামে এক ইউজার সোশাল মাধ্যমে ধারাবাহিকের একটি গ্রুপে প্রশ্ন করলেন এ নিয়ে। তিনি লিখছেন, 'একটা কথা মাথায় ঢুকছে না। কলকাতা শহরের বিরাট নামকরা অর্থবান ডাক্তারের ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া মেয়ে গুনগুন বিয়ে হয়েছে অবশ্যই প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর। সে কি এখনও বোঝে না স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কটা কী? বিয়ের পর বাচ্চা কী করে হয়? লেখিকা, ডিরেক্টর দর্শকদের কি এতই বাচ্চা ভাবেন? দর্শকরা ভাবুন। এই সিরিয়ালটা আজ থেকে মাস তিনেক আগে এক বন্ধুর কাছ থেকে আমি আর আমার স্ত্রী প্রচুর প্রশংসা শুনি। তার পর আমরা দুজন মোটামোটি হটস্টার থেকে মাসখানেকের মধ্যেই সমস্ত এপিসোড গুলো খুব মজা করে দেখি। কিন্তু গত একমাস যাবত বা দিন কুড়ি যাবত যে রকম একঘেয়েমি হচ্ছে, টিআরপি কমে যাওয়ার কারণ হচ্ছে এগুলোই। এবং কিছু অদ্ভুত দর্শক আছেন যারা কোন ভুল দেখতে পান না বা নেগেটিভ সমালোচনা পছন্দ করেন না।'
খুব স্পষ্ট মতামত সন্দেহ নেই। একজন শিক্ষিতা শহুরে মেয়ে সন্তান ধারণের প্রক্রিয়া জানেন না আজকের দিনে এটা মেনে নেওয়া ধারাবাহিকের চরম প্রশংসকের কাছেও বাড়াবাড়ি। তবে গুনগুনের এই বালখিল্যতাই দর্শকদের ওর প্রতি আকৃষ্ট করেছে এবং এটা অনেকের ভালো লাগছে, এমনটাও বলেছেন কিছু দর্শক। ছোট্ট পিপিলিকা নামে এক ইউজার লিখছেন, 'অনেকে বলছে গুনগুন একটু বেশি নেকামি করছে.. আসলে গুনগুন চরিত্রটিই এরকমভাবে writer সৃষ্টি করেছেন...সহজ, সরল বোকা,বড্ড ছেলেমানুষি আর, ওর এই innocence এর কারণেই কিন্তু বাবিন ওকে ভালোবেসে ফেলেছে ..এটা আমার কাছে নেকামি মনে হয় না, অনেক মজা লাগে....আর এই চরিত্রটি তৃণা সাহা ছাড়া মনে হয় না এতো সুন্দর ভাবে কেউ ফুটিয়ে তুলতে পারত...'
আপাতত টিআরপি রেটিংয়ে প্রথম পাঁচে থাকলেও অনেকেই আশঙ্কা করছেন, এই বহর চলতে থাকলে দর্শকদের একাংশ হয়তো ধারাবাহিক দেখা বন্ধ করতে পারেন। চিত্রনাট্যে টানটান ভাব কমে গেলে দর্শকদেরও খানিকটা একঘেয়ে লাগবে, এটাই স্বাভাবিক। নির্মাতাদের কান পর্যন্ত দর্শকদের পছন্দ অপছন্দের কথা পৌঁছলে ভালো।