scorecardresearch
 

Rachana Banerjee: 'চাওয়া- পাওয়ার তো কোনও শেষ নেই...,' 'দিদি নম্বর ১'-র মঞ্চে হঠাৎ আবেগপ্রবণ রচনা

Rachana Banerjee - Didi No 1: দর্শকদের মনের খুব কাছের তিনি। সেই প্রমাণ মেলে সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই। অভিনেত্রীকে অনেকেই নিজেদের আদর্শ বলে মনে করেন। টেলিভিশনের পর্দায় জীবনবোধের কথা বললেন রচনা। 

Advertisement
রচনা বন্দোপাধ্যায় রচনা বন্দোপাধ্যায়

বাংলার পাশাপাশি ওড়িয়া ও দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় তিন দশক ধরে দাপিয়ে কাজ করেছেন অভিনেত্রী রচনা বন্দোপাধ্যায় (Rachana Banerjee)। বড় পর্দার পাশাপাশি ছোট পর্দাতেও তিনি সমানভাবে জনপ্রিয়। তাঁর গেম শো-এর সৌজন্যে, তিনিও বাংলার 'দিদি'। দর্শকদের মনের খুব কাছের তিনি। সেই প্রমাণ মেলে সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই। অভিনেত্রীকে অনেকেই নিজেদের আদর্শ বলে মনে করেন। টেলিভিশনের পর্দায় জীবনবোধের কথা বললেন রচনা। 

সম্প্রতি 'দিদি নম্বর ১'-র এক বিশেষ পর্বে অতিথি হয়ে আসেন তনুকা চট্টোপাধ্যায়, কল্যাণী মণ্ডল, মৌমিতা গুপ্ত, মানসী সিনহার মতো অভিনেত্রীরা। তনুকা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েই, ক্যামেরার সামনে মনের কথা উজার করতে শুরু করেন রচনা। তিনি শেয়ার করেন জীবনেভাল থাকতে কী কী ত্যাগ করেছেন তিনি। রচনা বলেন, "কাজ সব সময় থাকবে। যতদিন শরীরে জোর থাকবে কাজ থাকবে। কিন্তু আমাকে একটা লাইন টানতে হবে কোনও একটা জায়গায়। চাওয়া আর পাওয়ার তো কোনও শেষ নেই... আজকে আমি চাইলে 'দিদি নম্বর ১'-র পরও দশটা ওয়েব সিরিজ করতে পারি। কিন্তু আমি জানি কোথায় লাইন টানতে হয়। আমার কাছে জীবনে কিছু জিনিসকে প্রাধান্য দেওয়া জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।" 

অভিনেত্রী আরও যোগ করেন, "আমরা কেউ জানি না, যে পাঁচজন আজ এখানে দাঁড়িয়ে আছি, এক বছর পর আমরা এই পাঁচজন থাকব কিনা জানি না। যতটুকু জীবন আছে সেটুকু জীবনকেই যদি আমরা সুন্দর করে গুছিয়ে নিই, তাহলে সবকিছু জীবনে উপলব্ধি করা যায়। শুধু যদি টাকার পিছনে দৌড়াই, সেই টাকাটা তো ছেড়ে চলে যাবো, থাকবে না তো কিছুই। যতটুকু দেখার, আনন্দ ভোগ করার, সেটা যদি করে যাই, সেটাকে সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারব। সেই জন্যে জীবনে আমার কাছে প্রায়োরিটিগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কাজটাই কি সব জীবনের? আরও তো অনেক কিছু আছে লাইফে! সেগুলো তো ভীষণ এনজয় করা দরকার। জীবন তো একটা।" এই কথাগুলি শুনে তনুকার প্রতিক্রিয়া, "তুমি সব দিক থেকেই আমাদের অনুপ্রেরণা।" 

আরও পড়ুন

Advertisement

 

 

প্রসঙ্গত, নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কখনওই লুকোছাপা করেননি রচনা বন্দোপাধ্যায়। স্বামীর সঙ্গে থাকেন না বহু বছর ঠিকই, কিন্তু বিচ্ছেদও হয়নি তাঁদের। ছেলে প্রনীলকে নিয়ে থাকেন অভিনেত্রী। ছেলেকে কো-পেরেন্টিং করছেন রচনা ও তাঁর স্বামী। কর্মব্যস্ততার থেকে মাঝে মধ্যেই বিরতি নিয়ে ঘুরতে যান নায়িকা। 
 

Advertisement