রাজ্যে আংশিক লকডাউনের ঘোষণা করেছে নবান্ন। আর রাজ্যের এই সিদ্ধান্তকে মেনে নিলেও দিনে দিনে দু'বার দোকান হাট বাজার খোলার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ব্যবসায়ীদের একাংশ। দিনে দুবার দোকান বাজার খোলার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তার কোনও 'মানে নেই' বলেই মনে করছেন তাঁরা।
এই প্রসঙ্গে গিরিশ জৈন নামে শহর কলকাতার এক কাপড় ব্যবসায়ী মনে করছেন, 'এটাকে ব্যবস্থা আরও ভালভাবে করা যেতে পারত।' তাঁর মতে,' দুবারের যে সময় দেওয়া হয়েছে তার কোনও মানে নেই। লকডাউন দরকার, কিন্তু তার প্রয়োগটা খারাপ ভাবে হয়েছে। সরকার একটাই সময় দিতে পারত। সেটা ৮ থেকে ১২টা হতে পারত।'
পাশাপাশি শ্যামবাজার এলাকার একটি দোকানের কর্মসাচির প্রশ্ন, 'আমার দোকান খুলব, বন্ধ করব, বাড়ি যাব আবার আসব? আমরা বেশিরভাগেরই বাড়ি দোকান থেকে দূরে। তাহলে কীভাবে করব আমার?' অন্যদিকে হাতিবাগান এলাকায় এক চুড়ি বিক্রেতা বলছেন, 'সকাল ৭টার সময় কে কিনতে আসবেন। আমরা লকডাউনের বিপক্ষে নই। কিন্তু সময়টা একেবারেই অবাস্তব।'
প্রসঙ্গত বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই রাজ্যে শুরু হয়েছে আংশিক লকডাউন। রাজ্যের সমস্ত শপিং মল, সিনেমা হল, রেস্তোরাঁ, জিমে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। নির্দেশ বলা হয়েছে, শপিং মল, বিউটি পার্লার, সিনেমা হল, রেস্তোরাঁ, বার, স্পোর্টস কপপ্লেক্স, জিম, স্পা, সুইমিং পুল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখতে হবে। বাজার হাট খোলা থাকবে সকাল ৭টা থেকে ১০টা এবং দুপুর ৩টে থেকে ৫টা পর্যন্ত।