দেশে দ্রুত ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণের গ্রাফ। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে দেশে ৪,৪৩৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রণের হার ৩.৩৮ শতাংশ। পাশাপাশি সাপ্তাহিক সংক্রমণের হার ২.৭৯ শতাংশ। দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু-সহ দেশের বেশকিছু রাজ্যে দ্রুত বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মহারাষ্ট্রে কোভিড কেস ১৮৬ শতাংশ বেড়েছে, যা নিয়ে ব্যাপক দুশ্চিন্তায় স্বাস্থ্যমহল। শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রেই মঙ্গলবার ৭১১টি নতুন কেস রেজিস্টার হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের।
করোনায় আক্রান্ত অশোক গেহলট ও বসুন্ধরা রাজে
এদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ও বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া। দুজনেই ট্যুইট করে বিষয়টি জানিয়েছেন। অশোক গেহলট ট্যুইটে জানান যে, তাঁর কোভিড ১৯-এর হালকা লক্ষণ রয়েছে। আর বসুন্ধরা জানান, তিনি পুরোপুরি আইসোলেশনে রয়েছেন।
রাজধানী দিল্লির যা চিত্র...
এদিকে দেশের রাজধানী দিল্লিতে মঙ্গলবার ৫২১ টি নতুন কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। দিল্লিতে পজিটিভিটির হার ১৫.৬৪ শতাংশ। এক রোগীর মৃত্যুও হয়েছে। দিল্লি সরকারের জারি করা বুলেটিনে বলা হয়েছিল যে, ব্যক্তি মারা গিয়েছেন তাঁর কোভিডের লক্ষণ ছিল। কিন্তু তাঁর মৃত্যু কোভিডের কারণে হয়নি। দিল্লিতে গত ২৪ ঘন্টায় ১,৭০০ টিরও বেশি সক্রিয় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
ছত্তীসগড়েও বাড়ছে করোনা
অন্যদিকে, ছত্তিশগড়ে মঙ্গলবার ৪৮ জনের কোভিড পজিটিভ পাওয়া গেছে এবং একজন রোগী মারা গিয়েছেন। রাজ্যে পজিটিভিটির হার ৪.৯২%। ৩৩টি জেলার মধ্যে মাত্র 8টি থেকে করোনার কেস রিপোর্ট করা হয়েছে এবং রাজ্যের মোট ১২টি জেলায় করোনার সক্রিয় কেস রয়েছে।
মেয়েদের হোস্টেলে করোনার বাড়বাড়ন্ত
সোমবার, ছত্তীসগড়ের একটি মেয়েদের হোস্টেলে কার্যত করোনা বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়। ওই হোস্টেলে একসঙ্গে ১৯ জন সংক্রামিত রোগী পাওয়া যায়। জানা গিয়েছিল, গার্লস হোস্টেলে একসঙ্গে ১১ জন ছাত্রী কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু বাকি ছাত্রীদের পরীক্ষা করা হলে, আরও ৮ জনকে সংক্রামিত পাওয়া যায়। হোস্টেলেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করে সব ছাত্রীকে আইসোলেশানে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন - প্রেমিকার বিয়েতে বিস্ফোরক ভর্তি হোম থিয়েটার 'উপহার' প্রেমিকের, বিস্ফোরণে পাত্রের মৃত্যু