পুরো সিনেমার দৃশ্য। বার বার মনে পড়ে যাবে 'থ্রি ইডিয়টস'-এর কথা। কেরালায় তেমনই ছবি দেখা গেল। যেখানে করোনা আক্রান্ত এক রোগীকে নিজেদের স্কুটারে করে পৌঁছে দিলেন চিকিৎসাকেন্দ্রে। পুন্নাপাড়া ডমিসিলিয়ারি কেয়ার সেন্টার (Punnapara Domiciliary Care Centre)-এর স্বেচ্ছাসেবকেরা।
তাঁদের এই উদ্যোগের তারিফ করেছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন (Kerala Chief Minister Pinarayi Vijayan)। দেখা যাচ্ছে, নিজেদের স্কুটারে চাপিয়ে করোনা আক্রান্ত এক রোগীকে তাঁরা নিয়ে যাচ্ছেন হাসপাতালে। 'থ্রি ইডিয়টস'-এ আমির খান অনেকটা একই ভাবে বন্ধুর বাবাকে নিয়ে গিয়েছিলেন হাসপাতালে।
কী হয়েছিল
স্থানীয় সূত্রে খবর, একদল স্বেচ্ছাসেবী করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে পৌঁছে দিয়েছেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। তবে তাদের নিয়ে চর্চা হয় অন্য কারণে। তারা নিজেদের স্কুটারে করে পৌঁছে দিয়েছেন ওই রোগীকে।
আর এর পরেই শুরু হয়ে গেছে চর্চা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দেখা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন (Kerala Chief Minister Pinarayi Vijayan) তাঁদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন।
কোথায়
কেরালার পুন্নাপাড়া ডমিসিলিয়ারি কেয়ার সেন্টার (Punnapara Domiciliary Care Centre)-এর ঘটনা। সেখানে দু'জন স্বেচ্ছাসেবক ওই রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছে দেন। তিনি কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তার পরই তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। যাতে আরও ভাল চিকিৎসা দেওয়া যায়।
পুন্নাপাড়া ডিসিসির অশ্বিন কুঞ্জুমন এবং রেখা নামে ওই দুই স্বেচ্ছাসেবক এই কাজ করেছেন। এবং তারপর তাঁদের এই কাজ প্রশংসিত হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। করোনা আক্রান্ত রোগীর শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছিল। তাঁকে চিকিৎসার জন্য চিকিৎসা কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্সকে খবর দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স আসতে বেশ কিছুটা সময় নিত। অন্তত ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় লাগবে। তবে তাঁরা সেই সময় নষ্ট করেনি। নিজেদের উদ্যোগেই পৌঁছে দিয়েছেন। তাড়াতাড়ি করে সিদ্ধান্ত নেন স্কুটার করেই পৌঁছে দেওয়া হবে ওই ব্যক্তিকে।
হাসপাতাল বেশি দূরে ছিল না। এটা ভাল দিক। এর ফলে অনেকটা সময় বেঁচেছে। অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অপেক্ষা করতে হয়নি। আর দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সারা দেশে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও। একই ছবি কেরালাতেও। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কেরালায় লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, কেউ অভুক্ত থাকবেন না। সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে খাবার। তিনি টুইট করেছেন।
এদিকে, এদিকে, এইমস-এর অধিকর্তা রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, ভারত একটা বড়সড় দেশ। এখানে এক এক সময়ে করোনার সংক্রমণ চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছবে। দেশের পশ্চিম অঞ্চলে করোনার সংক্রমণের ঘটনা কিছুটা কমেছে। মহারাষ্ট্রে এখন চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে বলে মনে হয়।